ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম ঈমান শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রহঃ) ১ টি

উত্তর: কুরআনের প্রকাশ্য আয়াত, সুস্পষ্ট সুন্নাত এবং মুসলিমদের ঐকমত্যে কবরের আযাব সত্য। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«تَعَوَّذُوا بِاللَّهِ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ تَعَوَّذُوا بِاللَّهِ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ تَعَوَّذُوا بِاللَّهِ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ»

“তোমরা কবর আযাব থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা কর। তোমরা কবর আযাব থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা কর। তোমরা কবর আযাব থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা কর। কথাটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনবার বলেছেন।”[1]

সকল মুসলিমই সালাতে বলে,

«أَعُوْذُ بِاللَّهِ مِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ وَ مِنْ عَذَابِ القَبْرِ»

“আমি আল্লাহর কাছে জাহান্নামের আযাব এবং কবরের আযাব থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।” সাধারণ মানুষ এবং আলিম-উলামা সবাই এ দো‘আটি পাঠ করে থাকে।

আল্লাহ তা‘আলা কুরআনে বলেন,

﴿ٱلنَّارُ يُعۡرَضُونَ عَلَيۡهَا غُدُوّٗا وَعَشِيّٗاۚ وَيَوۡمَ تَقُومُ ٱلسَّاعَةُ أَدۡخِلُوٓاْ ءَالَ فِرۡعَوۡنَ أَشَدَّ ٱلۡعَذَابِ ٤٦﴾ [غافر: ٤٦]

“সকাল-সন্ধ্যায় তাদেরকে আগুনের সামনে পেশ করা হয় এবং যেদিন কিয়ামত সংঘটিত হবে, সেদিন আদেশ করা হবে, ফেরাউন গোত্রকে কঠিনতম আযাবে প্রবেশ করাও।” [সূরা গাফির, আয়াত: ৪৬]

কোনো সন্দেহ নেই যে, তাদেরকে আনন্দ-ফুর্তি করার জন্য জাহান্নামের আগুনের উপরে পেশ করা হবে না; বরং তার আযাব ভোগ করার জন্য। আল্লাহ বলেন,

﴿وَلَوۡ تَرَىٰٓ إِذِ ٱلظَّٰلِمُونَ فِي غَمَرَٰتِ ٱلۡمَوۡتِ وَٱلۡمَلَٰٓئِكَةُ بَاسِطُوٓاْ أَيۡدِيهِمۡ أَخۡرِجُوٓاْ أَنفُسَكُمُۖ ٱلۡيَوۡمَ تُجۡزَوۡنَ عَذَابَ ٱلۡهُونِ بِمَا كُنتُمۡ تَقُولُونَ عَلَى ٱللَّهِ غَيۡرَ ٱلۡحَقِّ وَكُنتُمۡ عَنۡ ءَايَٰتِهِۦ تَسۡتَكۡبِرُونَ﴾ [الانعام: ٩٣]

“আপনি যদি যালিমদেরকে ঐ সময়ে দেখতে পেতেন, যখন তারা মৃত্যু যন্ত্রনায় থাকবে এবং ফিরিশতাগণ তাদের হাত বাড়িয়ে বলবেন, তোমরা নিজেরাই নিজেদের প্রাণ বের করে আন। তোমাদের আমলের কারণে আজ তোমাদেরকে অবমাননাকর আযাব দেওয়া হবে। কারণ, তোমরা আল্লাহর ওপর মিথ্যারোপ করেছিলে এবং তোমরা তাঁর আয়াতের বিরুদ্ধে অহংকার করেছিলে।” [সুরা আল-আন‘আম, আয়াত: ৯৩] আর এ আয়াতের মধ্যে ‘আজ’ বলতে মৃত্যুর দিনকে বুঝানো হয়েছে। সুতরাং প্রমাণিত হলো যে, কুরআন, সুন্নাহ এবং মুসলিমদের ঐক্যমতে কবরের আযাব সত্য।

>
[1] সহীহ মুসলিম, অধ্যায়: কিতাবুল জান্নাত।