ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম ঈমান শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রহঃ) ১ টি
প্রশ্ন: (১০) রাসূল (ﷺ) হাদীসে জিবরাঈলে বলেছেন, ঈমান হলো আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস, ফিরিশতাদের প্রতি বিশ্বাস, আল্লাহর কিতাবের ওপর বিশ্বাস, রাসূলদের ওপর বিশ্বাস, পরকালের ওপর বিশ্বাস এবং ভাগ্যের ভালো-মন্দের ওপর বিশ্বাস স্থাপন। অন্য হাদীসে রয়েছে, ঈমানের সত্তরের অধিক শাখা-প্রশাখা রয়েছে। উভয় হাদীসের মধ্যে আমরা কীভাবে সমন্বয় করব?

উত্তর: যে ঈমানের মাধ্যমে আকীদাহ[1] উদ্দেশ্য, তার রুকন মোট ছয়টি। সেগুলো হাদীসে জিবরীলে উল্লেখ হয়েছে। জিবরীল আলাইহিস সালাম যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ঈমান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন, উত্তরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ঈমান হলো তুমি বিশ্বাস করবে আল্লাহর প্রতি, ফিরিশতাদের প্রতি, আসমানী কিতাবসমূহের প্রতি, রাসূলগণের প্রতি, পরকালের প্রতি এবং ভাগ্যের ভালো-মন্দের প্রতি। অপর পক্ষে যেখানে ঈমানের সত্তরের অধিক শাখা-প্রশাখা থাকার কথা বলা হয়েছে, সেখানে ঈমানের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার সৎ আমল উদ্দেশ্য। এ জন্য সালাতকে ঈমানের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আল্লাহ বলেন,

﴿وَمَا كَانَ ٱللَّهُ لِيُضِيعَ إِيمَٰنَكُمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ بِٱلنَّاسِ لَرَءُوفٞ رَّحِيمٞ﴾ [البقرة: ١٤٣]

“আল্লাহ তোমাদের ঈমানকে বিনষ্ট করবেন না। নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের প্রতি অতীব দয়ালু”। [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৪৩]তাফসীরকারকগণ বলেছেন, এখানে ঈমান দ্বারা বায়তুল মাকদাসের দিকে ফিরে আদায় করা সালাত উদ্দেশ্য। কেননা সাহাবীগণ কা‘বার দিকে মুখ করে সালাত আদায়ের পূর্বে বাইতুল মাকদাসের দিকে ফিরে সালাত আদায় করতেন।

[1] ইসলামের মৌলিক বিশ্বাস সম্পর্কিত বিষয়গুলিকে আকীদা বলা হয়। যেমন, আল্লাহর সত্বা ও গুণাবলীতে বিশ্বাস নবী-রাসূলদের ওপর বিশ্বাস ও অন্যান্য বিষয়সমূহ।