উত্তর: এ অবস্থায় মক্কা প্রবেশ করতে না পারলে সে ‘মুহছার’ বা বাধাগ্রস্ত বলে বিবেচিত হবে। তখন বাধাপ্রাপ্ত স্থানে হাদঈ যবেহ করে সে ইহরাম খুলে ফেলবে। যদি ইহা তার প্রথম ফরয হজ হয়ে থাকে তবে পরবর্তী বছর তা আদায় করবে। আর ফরয না হয়ে থাকলে বিশুদ্ধ মতানুযায়ী পরবর্তী বছর তা আদায় করার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হুদায়বিয়ার বছরে বাধাপ্রাপ্ত হলে পরবর্তী বছর তা কাযা আদায় করার নির্দেশ প্রদান করেন নি। অতএব, আল্লাহর কিতাবে ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাতে বাধাপ্রাপ্ত হজ বা উমরা কাযা আদায় করার বাধ্যবাধকতা নেই। আল্লাহ বলেন,
﴿فَإِنۡ أُحۡصِرۡتُمۡ فَمَا ٱسۡتَيۡسَرَ مِنَ ٱلۡهَدۡيِ﴾ [البقرة: ١٩٦]
“যদি বাধাগ্রস্ত হও, তবে সহজসাধ্য কুরবানী করবে।” [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ১৯৬]
এখানে হাদঈ যবেহ করা ছাড়া অন্য কিছু উল্লেখ করা হয় নি। আর পরবর্তী বছর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উমরা আদায়কে কাযা উমরা এজন্যই বলা হয়েছে যে, তিনি কুরাইশদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন যে পরবর্তী বছর উমরা আদায় করবেন। এ কারণে নয় যে, ছুটে যাওয়া কাজের পূর্ণতার জন্য কাযা আদায় করেছিলেন। (আল্লাহই অধিক জ্ঞান রাখেন।)