স্বালাতে মুবাশ্‌শির জামাআত আবদুল হামীদ ফাইযী ১ টি
  1. জায়গার গুরুত্ব হিসাবে জামাআতের সওয়াব কম-বেশী হয়ে থাকে; যেমন মাসজিদুল হারাম, মসজিদে নববী, বায়তুল মাকদেস, মসজিদে কুবা প্রভৃতি।
  2. অমসজিদের তুলনায় মসজিদের জামাআতে সওয়াব বেশী। অবশ্য জনহীন মরুভূমীতে রুকূ-সিজদাহ ইত্যাদি পরিপূর্ণরুপে করলে তার সওয়াব ৫০ গুণ বেশী। আল্লাহর রসূল (ﷺ) বলেন, জামাআতে পড়া নামায পঁচিশটি নামাযের সমতুল্য। আর যদি কেউ সেই নামায কোন জনশূন্য প্রান্তরে পড়ে এবং তার রুকু ও সিজদা পূর্ণরুপে আদায় করে, তবে ঐ নামায পঞ্চাশটি নামাযের সমমানে পৌঁছায়।” (আবূদাঊদ, সুনান ৫৬০, সহিহ তারগিব ৪০৭নং)
  3. বাসা থেকে মসজিদ যত দূরে হবে, পদক্ষেপ হিসাবে জামাআতের সওয়াব তত বেশী হবে। (আবূদাঊদ, সুনান ৫৫৬নং)
  4. জামাআতের লোকসংখ্যা যত বেশী হবে, তার সওয়াবও তত বেশী হবে।
  5. তাকবীরে তাহ্‌রীমা সহ্‌ পূর্ণ নামাযের জামাআতের সওয়াব কিছু অংশ বাদ যাওয়া নামাযের জামাআতের সওয়াব অপেক্ষা বেশী।
  6. নামায অনুযায়ীও জামাআতের সওয়াব কম-বেশী হয়ে থাকে। যেমন, ফজরের জামাআত এশার তুলনায় এবং এশার জামাআত অন্যান্য ওয়াক্তের জামাআতের তুলনায় সওয়াবে অধিক বেশী।