স্বালাতে মুবাশ্‌শির জানাযা আবদুল হামীদ ফাইযী ১ টি

জানাযার নামায ৪, ৫, ৬, ৭, ও ৯ তকবীরে পড়া বিধেয়। এর প্রত্যেকটিই নবী (সা.) হতে সহীহ-সূত্রে প্রমাণিত আছে। সুতরাং যে কোন একটি হাদীসের উপর আমল করলে সুন্নত পালন হয়ে যায়। তবে সব রকম তকবীরের উপর কখনাে কখনাে আমল করাই উচিত। যাতে সমস্ত সহীহ হাদীসের উপর আমল বজায় থাকে। আর যদি এক ধরনের আমল রাখতেই হয়, তাহলে চার তকবীরের উপর আমল রাখা যায়। কারণ, চার তকবীরে জানাযা বিষয়ক হাদীস বর্ণিত হয়েছে সবার চেয়ে বেশী। ১

এবারে জানাযার নামাযের পদ্ধতি নিম্নরূপঃ

নামাযী সর্ব প্রথম প্রস্তুতি নিয়ে দাঁড়িয়ে মনে মনে জানাযার নামাযের নিয়ত করবে। (প্রকাশ যে, বাধা-গড়া নিয়ত পড়া বা নিয়ত মুখে উচ্চারণ করা বিদআত।)।

অতঃপর অন্যান্য নামাযের মতই তার উভয় হাত কানের উপরিভাগ অথবা কাঁধ বরাবর তুলবে। আর এর সাথে আল্লাহু আকবার' বলে তকবীর দেবে। অতঃপর ডান হাতকে বাম হাতের উপর রেখে বুকের উপর স্থাপন করবে। আবু হুরাইরা (রা.) বলেন, একদা আল্লাহর রসূল (সা.) এক জানাযার নামায পড়াকালে তকবীর দিলেন এবং প্রথম তকবীরের সময় তাঁর উভয় হাতকে তুললেন। অতঃপর ডান হাতকে বাম হাতের উপর রাখলেন। ২

অতঃপর ‘আউযু বিল্লাহ, বিসমিল্লাহ’ পড়ে সূরাহ আল-ফাতেহা পাঠ করবে। অতঃপর ‘বিসমিল্লাহ' বলে একটি (ছােট) সূরাহ পাঠ করবে।
তালহা বিন আব্দুল্লাহ বিন আউফ বলেন, আমি ইবনে আব্বাস (রা.) এর পশ্চাতে এক জানাযার নামায পড়লাম। তিনি উচ্চস্বরে আমাদেরকে শুনিয়ে সূরাহ ফাতেহা ও একটি অন্য সূরাহ পাঠ করলেন। অতঃপর নামায শেষ করলে আমি তার হাতে ধরে (উচ্চস্বরে পড়ার কারণ) জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি উত্তরে বললেন, ‘আমি উচ্চস্বরে এই জন্যই পড়লাম; যাতে তোমরা জানতে পার যে, উক্ত সূরাহ পাঠ সুন্নাহ (নবী (সা)-এর তরীকা) ও হক (সত্য)। ৩

সুতরাং উভয় সূরাহ চুপে-চুপে পড়াই সুন্নাহ। তাই আবু উমামাহ সাহলও বলেন, ‘জানাযার নামাযে সুন্নাহ হল, প্রথম তকবীরের পর নিশ্চুপে সূরাহ ফাতেহা পাঠ করা। অতঃপর তিন তকবীর দেওয়া এবং শেষে সালাম ফেরা। ৪

অবশ্য শিক্ষাদান প্রভৃতির উদ্দেশ্যে উচ্চস্বরে পড়া দোষাবহ নয়। যেমন ইবনে আব্বাস (রা.) পড়েছিলেন। যেমন নবী (সা.) জানাযার দু‘আ উচ্চস্বরে পড়েছেন। যা শুনে সাহাবাগণ মুখস্থ করেছেন।

উক্ত ক্বিরাআতে সংক্ষিপ্ত সূরাহ পড়াই বাঞ্ছনীয়। কারণ, জানাযা সমস্ত কাজই তড়িঘড়ির উপর সমাধা করা কর্তব্য। আর এ জন্যই এ নামাযে ইস্তিফতাহর দুআ পাঠ বিধেয় নয়।৫

ছােট একটি সূরাহ পাঠ শেষ হলে নামাযী দ্বিতীয় তকবীর দেবে। এই তকবীর এবং এর পরের তকবীরগুলোতে হাত তোলার প্রসঙ্গে নবী (ﷺ) হতে কিছু প্রমাণিত নেই। আর প্রথম তকবীর ছাড়া অন্যান্য তকবীরের সময় তিনি হাত তুলতেন না বলে যে হাদীস আছে, তা শুদ্ধ নয়। পক্ষান্তরে ইবনে উমার, ইবনে আব্বাস ও আনাস (রা.) হতে বর্ণিত যে, তারা সকল তকবীরে হা