৩. তারপর উমরার কাজে ঢুকার জন্য মনে মনে নিয়্যত (দৃঢ় সংকল্প) করবেন, আর মুখে উচ্চারণ করে বলবেন:
لَبَّيْكَ عُمْرَةً
(লাব্বাইকা ‘উমরাতান)
“আমি উমরা আদায়ের জন্য আপনার দরবারে উপস্থিত হলাম।”
অথবা বলবে:
اَللَّهُمَّ لَبَّيْكَ عُمْرَةً
(আল্লাহুম্মা লাববাইকা উমরাতান)
“হে আল্লাহ আমি উমরা আদায়ের জন্য আপনার দরবারে উপস্থিত হলাম।”
অন্য কারো জন্য উমরা করতে চাইলে (যদি আপনি পূর্বে আপনার উমরা আদায় করে থাকেন তবে) উচ্চারণ করবেন:
اَللَّهُمَّ لَبَّيْكَ عُمْرَةً مِنْ فُلانٍ
(আল্লাহুম্মা লাববাইকা উমরাতান মিন ফুলান)
“হে আল্লাহ আমি অমুকের (তার নাম ধরে) পক্ষ হতে উমরা পালনের জন্য হাযির।”
যদি মুহরিম ব্যক্তি ভয় করে যে, সে রুগ্ন অথবা শত্রুর ভয়ের কারণে উমরা করতে সামর্থ হবে না, তবে তার জন্য ইহরামের সময় শর্ত করে নেয়া জায়েয। সে বলতে পারবে:
«فِإِنْ حَبَسَنِيْ حَابِسٌ فَمَحَلِّيْ حَيْثُ حَبَسْتَنِيْ»
(ফায়িন হাবাসানি হাবিসুন ফামাহাল্লি হাইছু হাবাস্তানী)
“যদি কোনো বাধাদানকারী আমাকে বাধা দেয়, তাহলে যেখানে আমি বাধাগ্রস্থ হবো সেখানেই আমি হালাল হয়ে যাবো।”
মহিলা সাহাবী দুবায়া বিনতে যুবাইর রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললেন: আমি হজ করতে চাই, তবে রোগাক্রান্ত হয়ে যাওয়ার ভয় করছি। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন:
«حُجِّي، وَاشْتَرِطِي أَنَّ مَحِلِّي حَيْثُ حَبَسْتَنِي»
‘‘হজ করতে শুরু কর এবং শর্ত করে নাও, আর বল: যদি কোনো বাধাদানকারী আমাকে বাধা দেয়, তাহলে যেখানে আমি বাধাগ্রস্থ হবো সেখানেই আমি হালাল হয়ে যাবো।” [মুসলিম: ১২০৭]
তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের তালবিয়া পাঠ করবেন। আর তা হলো-
«لَبَّيْكَ اللّهُمَّ لَبَّيْكَ، لَبَّيْكَ لَا شَرِيْكَ لَكَ لَبَّيْكَ، إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لَا شَرِيْكَ لَكَ»
(লাববাইকা আল্লাহুম্মা লাববাইক, লাববাইকা লা শারীকা লাকা লাববাইক, ইন্নাল হামদা ওয়াননি‘মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারীকা লাক)
“উমরার জন্য আমি তোমার দরবারে হাযির। হে আল্লাহ! আমি আপনার দরবারে হাযির, আমি আপনার দ্বারে উপস্থিত, আপনার কোনো অংশীদার নেই, আপনার দরবারে উপস্থিত হয়েছি। সর্বপ্রকার প্রশংসা ও নিয়ামতের সামগ্রী সবই আপনার, আপনারই রাজত্ব, আপনার কোনো অংশীদার নেই।”
উল্লিখিত দো‘আ পুরুষ লোকেরা মুখে জোরে উচ্চারণ করবে, আর মহিলারা চুপে চুপে বলবে। অতঃপর অধিক মাত্রায় তালবিয়া পড়বেন এবং দো‘আ, যিকির-ইস্তেগফার করবেন।
পবিত্র মক্কায় পৌঁছার পর সম্ভব হলে গোসল করবেন, তারপর মসজিদে হারামে ঢুকার সময়ে ডান পা দিয়ে নিম্নোক্ত দো‘আটি পড়বেন :
«بِسْمِ اللهِ وَالصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلى رَسُوْلِ اللهِ، أَعُوذُ بِاللَّهِ الْعَظِيمِ وَبِوَجْهِهِ الْكَرِيمِ وَسُلْطَانِهِ الْقَدِيمِ مِنْ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ، اللَّهُمَّ افْتَحْ لِيْ أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ»
(বিসমিল্লাহ ওয়াস্সালাতু ওয়াস্সালামু ‘আলা রাসূলিল্লাহ, আঊযুবিল্লাহিল আযীম ওয়া বিওয়াজহিহিল কারীম ওয়া সুলতানিহিল কাদীম মিনাশ শায়তানির রাজীম। আল্লাহুম্মাফতাহ্ লি আবওয়াবা রাহমাতিক)
“আল্লাহর নামে, আর তার রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর দুরুদ পাঠ করছি, আমি বিতাড়িত শয়তান হতে মহান আল্লাহর কাছে তার সম্মানিত চেহারার এবং তাঁর অনাদি ক্ষমতার ওসীলায় আশ্রয় প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ ! আপনি আমার জন্য আপনার রহমতের দ্বারগুলো উম্মুক্ত করে দিন।”