সহীহ ফিক্বহুস সুন্নাহ ওযূ আবূ মালিক কামাল বিন আস-সাইয়্যিদ সালিম ১ টি
যদি মুকীম ব্যক্তি মোজায় মাসাহ করার পর সফর করে তাহলে তার বিধান

যে ব্যক্তি মুকীম অবস্থায় মোজার উপর মাসাহ করে একদিন ও এক রাত এর কম সময় অবস্থান করার পর সফরে বের হয়, তাহলে এ মাস‘আলাটির ক্ষেত্রে বিদ্বানদের দু’টি অভিমত পরিলক্ষিত হয়-

১ম: মুকীম অবস্থায় যে পরিমাণ সময় মাসাহ করেছে তা সহ বাকি তিন দিন তিন রাত পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত সে মোজায় মাসাহ করতে পারবেঃ এটা সাওরী আবূ হানীফা ও তাঁর অনুসারী এর অভিমত। একটি বর্ণনা মতে, ইমাম আহমাদও এ মত পেশ করেছেন। ইমাম ইবনে হাযমও এ মতের প্রবক্তা।[1]

২য়: সে একদিন এক রাত পূর্ণ করা পর্যন্ত মাসাহ করতে পারবে। এর পর তার জন্য ওযূ করার সময় দু’পা ধৌত করা আবশ্যক হবে: এটা ইমাম শাফেঈ, আহমাদ ও ইসহাক (রাহি.) এর অভিমত।[2]

বিশুদ্ধ অভিমত হল, তিন দিন তিন রাত পরিপূর্ণ হওয়া পর্যন্ত সে মাসাহ করতে পারবে। কেননা এই ব্যক্তিটি যখন মুসাফির অবস্থায় একদিন একরাত অতিবাহিত করবে, তখন সে মুসাফিরের মুদ্দাত বা সময় পূরণ করতে পারবে, কারণ হাদীসে স্পষ্টই বলা হয়েছে- ‘‘মুসাফির তিনদিন-তিনরাত মাসাহ করবে’’। আল্লাহ্‌ই ভাল জানেন।

যদি কেউ মুসাফির অবস্থায় মোজার উপর মাসাহ করে বাড়িতে ফিরে আসে তাহলে তার বিধান:

যে ব্যক্তি মুসাফির অবস্থায় একদিন একরাত কিংবা তার চেয়ে বেশি সময় মোজার উপর মাসাহ করে, অতঃপর বাড়িতে ফিরে আসে, তার জন্য ওযূ করার সময় মোজা খুলে দু’পা ধৌত করা আবশ্যক। এরপর মুকীম ব্যক্তির জন্য যা কর্তব্য তা পালন করবে। আর যদি মুসাফির অবস্থায় একদিন এক রাতের কম সময় মাসাহ করে তাহলে বাড়ি ফিরার পর দিন ও রাতের বাকি অংশ মাসাহ করে মুদ্দাত পূর্ণ করা তার জন্য বৈধ। এর পর খুলে ফেলা আবশ্যক। ইবনে মুনযির বর্ণনা করেন- বিদ্বানগণের মাঝে যারা মাসাহ এর সময়সীমা নির্ধারণ করার কথা বলেছেন তাদের সকলেই এই মতের উপর ঐকমত্য পোষণ করেছেন।[3]

[1] ‘ইখতিলাফুল উলামা’ (৩১ পৃ.) আল-মারওয়াযী প্রণীত। আল-মুগনী (১/২৯৯), আল-মুহালস্না (২/১০৯)।

[2] আল-উম্ম (১/৩৫), ইখতিলাফুল উলামা (৩১ পৃ.), আল-আওসাত্বব (১/৪৪৬)।

[3] আল-আওসাত্ব (১/৪৪৬)।