যেসব কাজ করলে শির্ক হয় এর তালিকা অনেক বড় । নিম্নে এর কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া হলো:
পূজা করা, কোন পীর-বুজুর্গ ও কবরে-মাযারে সিজদা করা, আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ গায়েব জানে বলে বিশ্বাস করা, নবী (স) বা কোন পীর মুর্শেদ গায়েবের খবর রাখেন বলে বিশ্বাস করা, গণক ও জাদুকরের কথায় বিশ্বাস করা, মাযারে গিয়ে কোন কিছু চাওয়া, কবরে দাঁড়িয়ে মৃত ব্যক্তির কাছে বিপদ থেকে মুক্তি চাওয়া, মাযারে মান্নত করা, আল্লাহ তাআলাকে যে পরিমাণ ভালোবাসা দরকার সে পরিমাণে কোন পীরকে মহব্বত করা, তাবীজ-কবজ ব্যবহার করা ইত্যাদি সবই বড় শির্ক ।
কথায়, কাজে ও বিশ্বাসে মানুষ এমনভাবে শির্কের মধ্যে সয়লাব হয়ে আছে এবং তাদের সংখ্যা। এত বেশি বেড়ে গেছে যে, কুরআন কারীমে আল্লাহ তাআলা বলেন,
“ঈমানদার সম্প্রদায়ের মধ্যে শির্ককারীদের সংখ্যা অর্ধেকের বেশি। (সূরা ১২: ইউসুফ ১০৬)
অর্থাৎ ঈমানের দাবি করলেও অধিকাংশ মানুষই মুশরিক। আর যে কেউ শির্ক করলে তার দেহ-মন আদ্যোপান্ত নাপাক হয়ে যায়, যা ওযু-গোসল দিয়ে পাক হয় না । আল্লাহ তাআলা বলেন,
“যারা শির্ক করে তারা নাপাক।” (সূরা ৯; তাওবা ২৮)।
আর এ শির্কের মাধ্যমে বান্দার যে করুণ পরিণতি হয় তা হলো:
১. ঈমান ভঙ্গ হয়ে যায়,
২. তার পূর্বের সকল নেক আমল বাতিল হয়ে যায়। (সূরা ৩৯; যুমার ৬৫)
৩. তার ভালো কাজ ও ইবাদতগুলোকে ধুলায় ধুসরিত করে ছিন্নভিন্ন করে দেওয়া হয় । (সূরা ২৫; ফুরকান ২৩; সূরা ২২; হাজ্জ ৩১)
৪. শির্ক করার পর ঐ লোক যেসব ইবাদত করে সেগুলোও কবুল হয় না। (সূরা ১৮; কাহফ ১০৫)। কারণ সে তখন ঈমান থেকে খারিজ হয়ে যায় । আর ইবাদত কবুলের প্রধান শর্ত হলো ঈমান থাকা। (সূরা ১৮; কাহফ ১০৭)
৫. তার বিবেক বিভ্রান্ত হয়ে যায় (সূরা ৪; নিসা ১১৬)। ফলে সে হককে বাতিল হিসেবে দেখে এবং বাতিলকে সে হক বলে তা আমল করে। এভাবেই সে ধ্বংস হয়ে যায় ।
৬. জান্নাত চিরতরে তার জন্য হারাম হয়ে যায় (সূরা ৫; মায়িদা ৭২)। যদিও সে মুসলিম পিতার সন্তান এবং নিজেকে সে মুসলিম বলে দাবি করে।
৭. জাহান্নাম হবে তার জন্য চিরস্থায়ী ঠিকানা (সূরা ৯৮; বাইয়্যিনা ৬) (নাউযুবিল্লাহ)