অস্তায়মান সূর্যের হলুদ আভা মিলিয়ে যাবার পর উসামা বিন যায়েদকে ক্বাছওয়ার পিছনে বসিয়ে নিয়ে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মুযদালেফা অভিমুখে রওয়ানা হন।[1] অতঃপর সেখানে পৌঁছে এক আযান ও দুই এক্বামতের মাধ্যমে মাগরিব ও এশা পড়েন। এশার ছালাতে ক্বছর করেন। এদিন মাগরিবের ছালাত পিছিয়ে এশার ছালাতের সঙ্গে মিলিয়ে পড়া হয়। একে ‘জমা তাখীর’ বলা হয়। উভয়ের মাঝে কোন সুন্নাত-নফল পড়েননি।[2] অতঃপর ফজর পর্যন্ত ঘুমিয়ে থাকেন। কোনরূপ রাত্রি জাগরণ করেননি। অতঃপর সকাল স্পষ্ট হ’লে তিনি আযান ও এক্বামতের মাধ্যমে ফজরের ছালাত আদায় করেন। তিনি বলেন, مُزْدَلِفَةُ كُلُّهَا مَوْقِفٌ ‘মুযদালিফার পুরাটাই অবস্থানস্থল’ (ছহীহুল জামে‘ হা/৪০০৬)। অতঃপর ক্বাছওয়ায় সওয়ার হয়ে মাশ‘আরুল হারামে আসেন এবং ক্বিবলামুখী হয়ে দো‘আ ও তাসবীহ-তাহলীলে লিপ্ত হন। পূর্বাকাশ ভালভাবে ফর্সা না হওয়া পর্যন্ত তিনি সেখানে অবস্থান করেন (মুসলিম হা/১২১৮ (১৪৭)।
এদিন তিনি দুর্বলদের ফজরের আগেই চাঁদ ডুবে যাবার পর মিনায় রওয়ানা হওয়ার অনুমতি দেন[3] এবং নির্দেশ দেন যেন সূর্যোদয়ের পূর্বে কংকর নিক্ষেপ না করে।[4] ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) বলেন, এ ব্যাপারে বিদ্বানগণের মধ্যে তিনটি মতামত রয়েছে। (১) সক্ষম বা দুর্বল যে কেউ মধ্যরাত্রির পরে যেতে পারবে (২) ফজর উদিত হওয়ার আগে রওয়ানা হওয়া যাবে না এবং (৩) দুর্বলরাই কেবল ফজর উদিত হওয়ার পূর্বে যেতে পারবে, সক্ষমরা নয়। এ বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত সেটাই, যা হাদীছে বর্ণিত হয়েছে যে, মধ্যরাত্রির পরে নয়, বরং চাঁদ ডুবে যাবার পর রওয়ানা হ’তে পারবে। মধ্যরাত্রির সীমা নির্ধারণ করার কোন দলীল নেই’ (যাদুল মা‘আদ ২/২৩৩)।
[2]. বুখারী হা/১০৯২, ১৬৭৩; মিশকাত হা/২৬০৭; মুসলিম হা/১২৮৮ (২৮৭-৮৮)।
[3]. বুখারী হা/১৮৫৬; মুসলিম হা/১২৯৩।
[4]. তিরমিযী হা/৮৯৩; আহমাদ হা/২৮৪২, হাদীছ ছহীহ।