নবীদের কাহিনী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) - মাদানী জীবন ডঃ মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব ১ টি
ছাফিইয়াহর সাথে রাসূল (ছাঃ)-এর বিবাহ (زواج النبى صـ مع صفية)

কেনানাহ বিন আবুল হুক্বাইক্বের নব বিবাহিতা স্ত্রী ছাফিয়া বিনতে হুয়াই বিন আখত্বাব বন্দী হন। দাসী হিসাবে প্রথমে তাকে দেহিইয়া কালবীকে দেয়া হয়। পরক্ষণেই নেতৃকন্যা হিসাবে তাকে রাসূল (ছাঃ)-এর ভাগে দেওয়া হয়। রাসূল (ছাঃ) তাকে ইসলামের দাওয়াত দিলে তিনি ইসলাম কবুল করেন। অতঃপর তাকে মুক্ত করে তিনি তাকে বিবাহের মাধ্যমে স্ত্রীর মর্যাদা দান করেন। এই মুক্তি দানকেই তার মোহরানা হিসাবে গণ্য করা হয়। অতঃপর মদীনায় ফেরার পথে ‘ছাহবা’ (الصَّهْبَاء) নামক স্থানে পৌঁছে ‘ছাফিয়া’ হালাল হ’লে তার সঙ্গে সেখানে তিনদিন বাসর যাপন করেন’ (বুখারী হা/৪২১১)। আনাস (রাঃ)-এর মা উম্মে সুলায়েম তাকে সাজ-সজ্জা করে রাসূল (ছাঃ)-এর কাছে পাঠান। এই সময় তার মুখে (অন্য বর্ণনায় দু’চোখে) সবুজ দাগ দেখে রাসূল (ছাঃ) তাকে এর কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার খায়বর আগমনের পূর্বে আমি একরাতে স্বপ্ন দেখি যে, চাঁদ কক্ষচ্যুত হয়ে আমার কোলে পড়ল। একথা কেনানাকে বললে সে আমার গালে জোরে থাপ্পড় মারে, আর বলে যে,أَتُرِيْدِيْنَ مَلِكَ يَثْرِبَ؟ ‘তুমি কি ইয়াছরিবের বাদশাহকে চাও? তিনি বলেন, আমার নিকটে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর চাইতে নিকৃষ্ট ব্যক্তি কেউ ছিলেন না। কারণ তিনি আমার পিতা ও স্বামীকে হত্যা করেছেন। অতঃপর রাসূল (ছাঃ) আমার নিকটে বারবার ওযর পেশ করেন এবং বলেন, হে ছাফিইয়াহ! তোমার পিতা আমার বিরুদ্ধে আরবদের জমা করেছিলেন। তাছাড়া অমুক অমুক কাজ করেছিলেন। অবশেষে আমার অন্তর থেকে তার উপরে বিদ্বেষ দূরীভূত হয়ে যায়’।[1]

[1]. ছহীহ ইবনু হিববান হা/৫১৯৯; ত্বাবারাণী, ছহীহাহ হা/২৭৯৩; ইবনু হিশাম ২/৩৩৬।