১। কোন ইসলামী দলের জন্য সবচাইতে বড় ক্ষতিকর হ’ল দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা কপটবিশ্বাসী মুনাফিকের দল। এদেরকে চিহ্নিত করা নেতৃত্বের জন্য অপরিহার্য। নইলে এরাই দলের আদর্শকে ও দলকে ডুবিয়ে দিতে পারে।
২। গুরুত্বপূর্ণ অভিযানে বা পদে মুনাফিক বা দ্বিমুখী চরিত্রের কাউকে দায়িত্ব দেয়া যাবে না।
৩। মুনাফিকরা সর্বদা মূল নেতৃত্বকে টার্গেট করে থাকে। এমনকি তাঁর পরিবারের চরিত্র হনন করতেও তারা পিছপা হয় না। ভিত্তিহীন ও মিথ্যা প্রচারণাই তাদের প্রধান হাতিয়ার হয়ে থাকে।
৪। মুনাফিক নেতাদের শাস্তি দিলে হিতে বিপরীত ঘটার সম্ভাবনা থাকলে শাস্তি না দিয়ে অপেক্ষা করা যেতে পারে। যাতে আল্লাহর পক্ষ হ’তে ফায়ছালা নেমে আসে এবং সমাজের নিকট তাদের মুখোশ উন্মোচিত হয়ে যায়।
৫। নারী হৌক পুরুষ হৌক সকলের ব্যাপারে সুধারণা রাখা কর্তব্য। যথার্থ প্রমাণ ব্যতীত কারু চরিত্রে কালিমা লেপন করা বা অন্যায় সন্দেহ পোষণ করা নিতান্ত গর্হিত কাজ।
৬। সমাজের কোন কুপ্রথা ভাঙ্গার জন্য প্রয়োজনে ইসলামী আন্দোলনের নেতাকেই এগিয়ে আসতে হবে। এ ব্যাপারে সর্বদা আল্লাহভীতিকেই অগ্রাধিকার দিতে হবে। পালক পুত্রের তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী যয়নবকে বিবাহের মাধ্যমে রাসূল চরিত্রে তার প্রমাণ পাওয়া যায়।
৭। মুনাফিকরা সর্বদা নিজেদেরকে ‘সম্মানিত’ এবং দ্বীনদার গরীবদের ‘নিকৃষ্ট’ মনে করে থাকে। অথচ আল্লাহর নিকটে মুত্তাক্বীরাই সম্মানিত (হুজুরাত ৪৯/১৩)।