অনেকে শহীদদের লাশ মদীনায় স্ব স্ব বাড়ীতে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সব লাশ ফেরত আনার নির্দেশ দেন। অতঃপর বিনা গোসলে তাদের পরিহিত যুদ্ধ পোষাকে (বর্তমান শুহাদা কবরস্থানে) এক একটি কবরে দু’তিনজনকে দাফন করা হয়। একটি কাপড়ে দু’জনকে কাফন পরানো হয়। অতঃপর ‘লাহদ’ বা পাশখুলি কবর খোড়া হয়। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) জিজ্ঞেস করেন,أَيُّهُمْ أَكْثَرُ أَخْذًا لِلْقُرْآنِ؟ এদের মধ্যে সর্বাধিক কুরআন জানতেন কে’? লোকেরা ইঙ্গিত দিলে তিনি তাকেই আগে কবরে নামাতেন। জাবের (রাঃ)-এর পিতা আব্দুল্লাহ বিন ‘আমর বিন হারাম এবং ‘আমর ইবনুল জামূহকে তিনি এক কবরে রাখেন। কেননা তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব ছিল’ (ইবনু হিশাম ২/৯৮)।
অনুরূপ হযরত হামযা (রাঃ) ও আব্দুল্লাহ বিন জাহ্শকে একই কবরে রাখা হয়। কেননা তিনি ছিলেন মামা-ভাগিনা।[1] তাঁদের উভয়েরই অঙ্গহানি করা হয়েছিল। তবে তাদের কলিজা বের করা হয়নি (ইবনু হিশাম ২/৯৭)। তাদের জন্য কাফনের কাপড় যথেষ্ট না হওয়ায় মাথা ঢেকে দিয়ে পায়ের উপরে ‘ইযখির’ (الإذخر) ঘাস দেওয়া হয়।[2] মুছ‘আব বিন ওমায়ের-এর সাথে কেবল একটি চাদর ছিল। তাতে কাফনের কাপড়ে কমতি হ’লে তাঁরও ইযখির ঘাস দিয়ে পা ঢাকা হয় (বুখারী হা/১২৭৬)। ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, হামযার জন্য দো‘আ করার সময় আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) এত কেঁদেছিলেন যে, তাঁর স্বর উঁচু হয়ে যায় এবং আমরা তাঁকে এত কাঁদতে কখনো দেখিনি’ (সীরাহ হালাবিইয়াহ ২/৫৩৪)। এখানেও শহীদদের উদ্দেশ্যে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) বলেন, أَنَا شَهِيدٌ عَلَى هَؤُلاَءِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ‘ক্বিয়ামতের দিন আমি এদের সকলের উপরে সাক্ষী হব’। তাদের গোসল দেওয়া হয়নি এবং কারু জানাযা হয়নি’।[3]
[2]. আহমাদ হা/২৭২৬২; মিশকাত হা/১৬১৫।
[3]. বুখারী হা/১৩৪৩, ৪০৭৯; মিশকাত হা/১৬৬৫; আহমাদ হা/২৩৭০৭; হাকেম ৩/২৩।