যুদ্ধের পুঁজি (رأسمال لقريش فى الحرب)
বদর যুদ্ধের প্রত্যক্ষ কারণ হিসাবে বিবেচিত কুরাইশের যে বাণিজ্য কাফেলা আবু সুফিয়ান স্বীয় বুদ্ধিবলে মুসলিম বাহিনীর কবল থেকে বাঁচিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছিলেন, সেই বাণিজ্য সম্ভারের সবটুকুই মালিকদের সম্মতিক্রমে ওহোদ যুদ্ধের পুঁজি হিসাবে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত হয়’ (ইবনু হিশাম ২/৬০)।[1]
[1]. মুবারকপুরী লিখেছেন, যার পরিমাণ ছিল ১,০০০ উট ও ৫০,০০০ স্বর্ণমুদ্রা (ইবনু সা‘দ ২/২৮; আর-রাহীক্ব ২৪৮ পৃঃ)। কিন্তু এ হিসাবের কোন প্রমাণ নেই। তাছাড়া এ প্রসঙ্গে সূরা আনফাল ৩৬ আয়াতটি নাযিল হয়েছে বলে ইবনু সা‘দ যা বলেছেন, সেটিও বিশুদ্ধ সূত্রে প্রমাণিত নয়। যাতে বলা হয়, إِنَّ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا يُنْفِقُوْنَ أَمْوَالَهُمْ لِيَصُدُّوْا عَنْ سَبِيْلِ اللهِ فَسَيُنْفِقُوْنَهَا ثُمَّ تَكُوْنُ عَلَيْهِمْ حَسْرَةً ثُمَّ يُغْلَبُوْنَ وَالَّذِيْنَ كَفَرُوْا إِلَى جَهَنَّمَ يُحْشَرُوْنَ- ‘আল্লাহর রাস্তা হ’তে লোকদের ফিরানোর জন্য কাফেররা যত ধন-সম্পদ ব্যয় করুক না কেন, সবই ওদের মনস্তাপের কারণ হবে। ওরা পরাভূত হবে। অতঃপর কাফেররা জাহান্নামে একত্রিত হবে’ (আনফাল ৮/৩৬)। বরং সকল যুগের কাফের-মুনাফিকরা তাদের মাল-সম্পদ সর্বদা ইসলামের বিজয় ও অগ্রগতির বিরুদ্ধে ব্যয় করবে এটাই স্বাভাবিক।