(১) সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার ও আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বায়‘আত গ্রহণের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে কর্মীদল সৃষ্টি হ’লেও তাদের কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণ করা এবং অন্যান্য বিশ্বস্ত কর্মীদের পাঠিয়ে বাস্তবতা যাচাই শেষে পদক্ষেপ নেওয়াই দূরদর্শী নেতার কর্তব্য। ১ম বায়‘আতের পর মুছ‘আবকে পাঠিয়ে হিজরতের জন্য দীর্ঘ তিন বছর অপেক্ষা করার মধ্যে রাসূল (ছাঃ)-এর সেই কর্মনীতি আমরা দেখতে পাই।
(২) নেতৃবৃন্দের অকপট আশ্বাস ও সাধারণ জনমত পক্ষে থাকলেও নেতৃস্থানীয়দের মধ্যে সর্বদা কিছু শত্রু ও দ্বিমুখী চরিত্রের লোক অবশ্যই থাকবে, সংস্কারবাদী নেতাকে সর্বদা সে চিন্তা মাথায় রাখতে হবে এবং সে হিসাবেই পদক্ষেপ নিতে হবে। মাদানী জীবনের প্রথম থেকেই কিছু ইহূদী নেতার বিরুদ্ধাচরণ এবং আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইয়ের দ্বি-মুখী আচরণ তার প্রকৃষ্ট প্রমাণ।
(৩) সমাজদরদী নেতা সাধ্যমত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাজ গঠনে সচেষ্ট থাকবেন। সাথে সাথে শত্রুপক্ষের চক্রান্ত সম্পর্কেও হুঁশিয়ার থাকবেন ও যথাযোগ্য ব্যবস্থা নিবেন।