(১) ইসলামের প্রসার ও তার স্থায়িত্ব নির্ভর করে তার ব্যাপক প্রচারের মধ্যে। সংস্কারককে তাই প্রচারের ছোট-খাট সুযোগকেও কাজে লাগাতে হয়। হজ্জের মওসুমে গভীর রাতে বেরিয়ে তাঁবুতে তাঁবুতে গিয়ে গোপনে তাওহীদের দাওয়াত দেবার মধ্যে রাসূল (ছাঃ)-এর উক্ত নীতি ফুটে উঠেছে।
(২) দাওয়াতের ক্ষেত্রে কোনরূপ দুনিয়াবী স্বার্থ পেশ করা যাবে না। কেবলমাত্র পরকালীন মুক্তি ও কল্যাণের দাওয়াত দিতে হবে।
(৩) নিজ দেশে অসহায় ভাবলে অন্য দেশের সম আদর্শের ভাইদের আন্তরিক আহবানে সাড়া দিয়ে সেদেশে স্থায়ীভাবে হিজরত করা আদর্শবাদী নেতার জন্য সিদ্ধ। এজন্য ক্ষেত্র প্রস্ত্ততির চেষ্টা করা বৈধ।
(৪) তাওহীদের দাওয়াত প্রসারের জন্য চাই দূরদর্শী, উদ্যমী ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একদল যুবক। আস‘আদ বিন যুরারাহর নেতৃত্বে ইসলাম কবুলকারী ছয় জন ইয়াছরেবী যুবক ও রাসূল (ছাঃ)-এর প্রেরিত তরুণ দাঈ মুছ‘আব বিন ওমায়ের (রাঃ)-এর তারুণ্যদীপ্ত দাওয়াতী কার্যক্রম আমাদেরকে সেকথাই স্মরণ করিয়ে দেয়।
(৫) ইমারত ও বায়‘আতের মাধ্যমেই ইসলামী সমাজ বিপ্লব সম্ভব। ১১, ১২, ১৩ নববী বর্ষে অনুষ্ঠিত পরপর তিনটি বায়‘আত অনুষ্ঠান এ দিকেই নির্দেশনা প্রদান করে।
(৬) দাওয়াতে সফলতা লাভের জন্য নেতা ও কর্মীদের মধ্যে বিশ্বাসের ঐক্য ও দৃঢ়তা এবং নিখাদ আদর্শনিষ্ঠা অপরিহার্য। হিজরতের পূর্বেই মি‘রাজ ও পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত ফরয হওয়ার বিষয়টি সেদিকেই ইঙ্গিত করে।