(১) ত্বায়েফের এই সফরের ফলে মক্কার বাইরে প্রথম ইসলামের দাওয়াত প্রসারিত হয়।
(২) প্রায় ৬০ মাইলের এই দীর্ঘ পথে যাতায়াতকালে পথিমধ্যেকার জনপদ সমূহে দাওয়াত পৌঁছানো হয়। এতে নেতারা দাওয়াত কবুল না করলেও গরীব ও মযলূম জনগোষ্ঠীর মধ্যে সাড়া জাগে। ত্বায়েফের আঙ্গুর বাগিচার মালিকের ক্রীতদাস ‘আদ্দাস-এর ব্যাকুল অভিব্যক্তি ভবিষ্যৎ সমাজ বিপ্লবের অন্তর্দাহ ছিল বৈ কি!
(৩) এই সফরে কোন বাহ্যিক ফলাফল দেখা না গেলেও মালাকুল জিবাল-এর আগমন এবং সফর শেষে মুত্ব‘ইম বিন ‘আদীর সহযোগিতায় নির্বিঘ্নে মক্কায় প্রবেশ ও সেখানে নিরাপদ অবস্থানের ফলে রাসূল (ছাঃ)-এর মধ্যে এ বিশ্বাস দৃঢ়তর হয় যে, আল্লাহ তাঁর এই দাওয়াতকে অবশ্যই বিজয়ী করবেন। ফলে তিনি দ্বিগুণ উৎসাহ লাভ করেন।
অতএব রাসূল (ছাঃ)-এর এ সফর ব্যর্থ হয়নি। বরং ভবিষ্যৎ বিজয়ের পথ সুগম করে।