ছাহাবায়ে কেরামের মধ্যে বিশেষ করে দুর্বলদের উপরে কাফের নেতাদের পক্ষ হ’তে যখন অবর্ণনীয় নির্যাতনসমূহ করা হচ্ছিল। তখন একদিন অন্যতম নির্যাতিত ছাহাবী খাববাব ইবনুল আরাত এসে রাসূল (ছাঃ)-কে কাফেরদের বিরুদ্ধে বদদো‘আ করার আহবান জানান। রাসূল (ছাঃ) তখন কা‘বাগৃহের ছায়ায় চাদর মুড়ি দিয়ে শুয়ে ছিলেন।[1] খাববাবের কথা শুনে তিনি উঠে বসেন এবং রাগতস্বরে বলেন, যা ইতিপূর্বে বলা হয়েছে।
মদীনায় হিজরতের পরেও ৯ম হিজরীর রবীউল আউয়াল মাসে ইসলাম কবুল করতে আসা খ্রিষ্টান নেতা ‘আদী বিন হাতেমকে তিনি একই ধরনের জবাব দিয়ে বলেছিলেন, يَا عَدِىُّ هَلْ رَأَيْتَ الْحِيرَةَ؟ قُلْتُ لَمْ أَرَهَا وَقَدْ أُنْبِئْتُ عَنْهَا. قَالَ فَإِنْ طَالَتْ بِكَ حَيَاةٌ لَتَرَيَنَّ الظَّعِينَةَ تَرْتَحِلُ مِنَ الْحِيرَةِ حَتَّى تَطُوفَ بِالْكَعْبَةِ، لاَ تَخَافُ أَحَدًا إِلاَّ اللهَ، ‘হে ‘আদী! তুমি কি (ইরাকের) হীরা নগরী চেন? তিনি বললেন, আমি দেখিনি। তবে তার সম্পর্কে শুনেছি। রাসূল (ছাঃ) বললেন, যদি তোমার হায়াত দীর্ঘ হয়, তাহ’লে তুমি দেখবে, একজন হাওদানশীন মহিলা একাকী সেখান থেকে গিয়ে কা’বাগৃহ তাওয়াফ করে ফিরে আসবে। অথচ সে কাউকে ভয় পাবে না আল্লাহ ব্যতীত’। ... ‘আদী বলেন, আমি পর্দানশীন মহিলাকে হীরা নগরী থেকে একাকী সফর করে কা‘বাগৃহ তাওয়াফ করে ফিরে আসতে দেখেছি। সে আল্লাহ ব্যতীত কাউকে ভয় করেনি। আমি পারস্য সম্রাট কিসরার অর্থ ভান্ডার বিজয়ে শরীক হয়েছি। এরপর যদি তোমাদের হায়াত দীর্ঘ হয়, তাহ’লে তোমরা অবশ্যই বাস্তবে দেখতে পাবে, যা নবী আবুল ক্বাসেম (ছাঃ) ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছেন যে, তোমরা অঞ্জলী ভরা অর্থ নিয়ে বের হবে। অথচ তা দান করার মত কোন গ্রহিতা খুঁজে পাবে না’।[2]
[2]. বুখারী হা/৩৫৯৫; আহমাদ হা/১৮২৮৬; মিশকাত হা/৫৮৫৭, ‘নবুঅতের নিদর্শনসমূহ’ অনুচ্ছেদ।