এ কাজটা প্রায়ই আবু জাহ্ল করত, আর ভাবত আমি মুহাম্মাদকে ও তার কুরআনকে গালি দিয়ে একটা দারুণ কাজ করলাম। অথচ তার এই কুরআন শোনাটা ছিল কপটতা এবং লোককে একথা বুঝানো যে, আমার মত আরবের সেরা জ্ঞানী ব্যক্তির নিকটেই যখন কুরআনের কোন মূল্য নেই, তখন তোমরা কেন এর পিছনে ছুটবে? এ যুগের বামপন্থী ধর্মনিরপেক্ষ পন্ডিত ও জ্ঞানপাপী মুসলমানদের অবস্থাও ঠিক অনুরূপ। যারা দিনরাত রাসূল (ছাঃ) কুরআন ও ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলে মূলতঃ অন্যকে ইসলাম থেকে ফিরিয়ে রাখার জন্য। লোকেরা ভাবে, তারা বড় বড় জ্ঞানী। তারা কি কিছুই বুঝেন না? অথচ তারা এ ব্যাপারে একেবারেই গোমূর্খ। আবু জাহ্লের এই কপট ও উদ্ধত আচরণের কথা বর্ণনা করেন আল্লাহ এভাবে-فَلاَ صَدَّقَ وَلاَ صَلَّى- وَلَكِنْ كَذَّبَ وَتَوَلَّى- ثُمَّ ذَهَبَ إِلَى أَهْلِهِ يَتَمَطَّى ‘সে বিশ্বাস করেনি এবং ছালাত আদায় করেনি’। ‘পরন্তু সে মিথ্যারোপ করেছে ও পৃষ্ঠপ্রদর্শন করেছে’। ‘অতঃপর সে দম্ভভরে নিজ পরিবারের কাছে ফিরে গিয়েছে’ (ক্বিয়ামাহ ৭৫/৩১-৩৩)। এক বর্ণনায় এসেছে যে, এক পর্যায়ে রাসূল (ছাঃ) আবু জাহ্লকে লক্ষ্য করে নিম্নোক্ত আয়াতটি পাঠ করেন,أَوْلَى لَكَ فَأَوْلَى- ثُمَّ أَوْلَى لَكَ فَأَوْلَى ‘তোমার দুর্ভোগের উপরে দুর্ভোগ’। ‘অতঃপর তোমার দুর্ভোগের উপরে দুর্ভোগ’ (ক্বিয়ামাহ ৭৫/৩৪-৩৫)।[1]