নবীদের কাহিনী ১৪-১৫. হযরত মূসা ও হারূণ (আলাইহিমাস সালাম) ডঃ মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব ১ টি

১. অদৃশ্য পালনকর্তা আল্লাহ্কে অস্বীকার করে দৃশ্যমান পালনকর্তা হিসাবে নিজেকেই সর্বোচ্চ পালনকর্তা বলে দাবী করা (নাযে‘আত ৭৯/২৪)

২. শৈশবে লালন-পালনের দোহাই পেড়ে তাকে পালনকর্তা বলে স্বীকার না করায় উল্টা মূসাকেই ‘কাফির’ বা কৃতঘ্ন বলে আখ্যায়িত করা (শো‘আরা ২৬/১৯)

৩. পূর্ব পুরুষের কারু কাছে এমন কথা না শোনার বাহানা পেশ করা (ক্বাছাছ ২৮/৩৬)

৪. আল্লাহর কাছে ফিরে যাওয়ার কথা অস্বীকার করা (ক্বাছাছ ২৮/৩৮)

৫. পরকালকে অস্বীকার করা (ক্বাছাছ ২৮/৩৭)

৬. মূসাকে কারাগারে নিক্ষেপ করার ও হত্যার হুমকি প্রদান করা (শো‘আরা ২৬/২৯; মুমিন/গাফির ৪০/২৬)

৭. নবুঅতের মু‘জেযাকে অস্বীকার করা এবং একে জাদু বলে অভিহিত করা (ক্বাছাছ ২৮/৩৬)

৮. মূসার নিঃস্বার্থ দাওয়াতকে রাজনৈতিক স্বার্থ প্রণোদিত বলে অপবাদ দেওয়া (আ‘রাফ ৭/১১০; ত্বোয়াহা ২০/৬৩)

৯. নিজের কথিত ধর্ম রক্ষা ও নিজেদের রচিত বিধি-বিধান সমূহ রক্ষার দোহাই দিয়ে মূসার বিরুদ্ধে মানুষকে ক্ষেপিয়ে তোলা (মুমিন/গাফির ৪০/২৬; ত্বোয়াহা ২০/৬৩)

১০. মূসাকে দেশে ফেৎনা সৃষ্টিকারী বলে দোষারোপ করা (মুমিন/গাফির ৪০/২৬)

বস্ত্ততঃ এই ধরনের অপবাদসমূহ যুগে যুগে প্রায় সকল নবীকে ও তাঁদের অনুসারী সমাজ সংস্কারক গণকে দেওয়া হয়েছে এবং আজও দেওয়া হচ্ছে।