আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেছেনঃ وَعَلَى اللَّهِ فَتَوَكَّلُوا إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ ‘‘তোমরা যদি মুমিন হয়ে থাক, তাহলে একমাত্র আল্লাহর উপরই ভরসা কর’’। (সূরা মায়েদাঃ ২৩)
ব্যাখ্যাঃ আবুস্ সাআদাত বলেনঃ توكل بالأمر إذا ضمن القيام به কাজটি সোপর্দ করে দিল, এ কথাটি ঠিক তখনই বলা হয় যখন কেউ কোন কাজ করার দায়িত্ব অন্য কারো উপর সোপর্দ করে।
লেখক অধ্যায়ের শুরুতে এই আয়াতটি উল্লেখ করার মাধ্যমে বুঝাতে চেয়েছেন যে, আল্লাহর উপর ভরসা করা এমন একটি ফরয, যা কেবল আল্লাহর জন্য খালেস করা আবশ্যক। কেননা আল্লাহর উপর ভরসা করা অন্তরের এবাদত সমূহের অন্যতম একটি বিরাট ও গুরুত্বপূর্ণ এবাদত। কেননা আয়াতে ((على اللهকে ফেলএর পূর্বে তথা ((فتوكلواএর পূর্বে উল্লেখ করার উদ্দেশ্য হলো حصر অর্থাৎ তাওয়াক্কুলকে কেবল আল্লাহর সাথেই সীমাবদ্ধ করা এবং আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো উপর ভরসা না করা। সুতরাং كمال التوكل (আল্লাহর উপর পরিপূর্ণ ভরসা) ব্যতীত তিন প্রকার তাওহীদ পূর্ণভাবে অর্জন করা সম্ভব নয়। যেমন উপরের আয়াতে বর্ণিত হয়েছে।
ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল (রঃ) বলেনঃ তাওয়াক্কুল হচ্ছে অন্তরের আমল। আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম (রঃ) শিরোনামে বর্ণিত আয়াতের ব্যাপারে বলেনঃ আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করাকে ঈমানের শর্ত করা হয়েছে। এতে বুঝা গেল, তাওয়াক্কুল না থাকলে ঈমান থাকেনা।
শাইখুল ইসলাম বলেনঃ যে লোক সৃষ্টির উপর ভরসা করবে কিংবা তার কাছে কিছু কামনা করবে, সে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং তার আশাও ব্যর্থ হবে। এ রকম করা শির্কও বটে। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
وَمَنْ يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَكَأَنَّمَا خَرَّ مِنَ السَّمَاءِ فَتَخْطَفُهُ الطَّيْرُ أَوْ تَهْوِي بِهِ الرِّيحُ فِي مَكَانٍ سَحِيقٍ
‘‘যে কেউ আল্লাহ্র সাথে শরীক করল; সে যেন আকাশ থেকে ছিটকে পড়ল, অতঃপর পাখী তাকে ছোঁ মেরে নিয়ে গেল অথবা বাতাস তাকে উড়িয়ে নিয়ে দূরবর্তী কোনো স্থানে নিক্ষেপ করল’’। (সূরা হজ্জঃ ৩১)
তাওয়াক্কুল দুই প্রকারঃ
(১) এমন বস্ত্তর ব্যাপারে তাওয়াক্কুল করা, যার ক্ষমতা শুধু আল্লাহর কাছেই। যে সমস্ত বিষয়ের ক্ষমতা শুধু আল্লাহর কাছেই, সেসব বিষয়ে আল্লাহ তাআলা ব্যতীত অলী-আওলীয়া এবং অনুরূপ অন্যান্যদের উপর ভরসা করা বড় শির্কের অন্তর্ভূক্ত, যা আল্লাহ তাআলা তাওবা ব্যতীত ক্ষমা করেন না।
আর উপস্থিত এবং জীবিত লোক, রাজা-বাদশাহ এবং অনুরূপ যাদেরকে আল্লাহ তাআলা ক্ষমতা দিয়েছেন, যেমন রিযিক দেয়ার ক্ষমতা, দুঃখ-কষ্ট দূর করার ক্ষমতা এবং অনুরূপ অন্যান্য বিষয়ের ক্ষমতা আল্লাহ তাআলা যাদেরকে দিয়েছেন, তাদের উপর সে বিষয়ে ভরসা করা شرك أصغر তথা ছোট শির্কের অন্যতম প্রকার।
(২) বৈধ তাওয়াক্কুল হচ্ছে, মানুষ তার দুনিয়াবী কাজ-কর্ম সম্পাদন করার জন্য কাউকে উকীল বানাবে। সে তার মত করেই তার কাজ-কর্ম পরিচালনা করবে। যেমন কেনা-বেচা, ভাড়া দেয়া, বিবাহ-তালাক, গোলাম আযাদ ইত্যাদি কাজ-কর্ম কেউ উকীলের মাধ্যমে সম্পাদন করল। এটি সকলের ঐক্যমতে জায়েয। তবে এ ক্ষেত্রে এটি বলা জায়েয নেই যে توكلت عليه আমি তার উপর ভরসা করলাম। বরং বলতে হবে যে, وكلته আমি তাকে উকীল বানালাম। কেননা সে যখন উকীল বানায়, তখন কর্ম সম্পাদনের ক্ষেত্রে আল্লাহ তাআলার উপরই ভরসা করে।
আল্লাহ তাআলা আরো বলেনঃ
إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ الَّذِينَ إِذَا ذُكِرَ اللَّهُ وَجِلَتْ قُلُوبُهُمْ وَإِذَا تُلِيَتْ عَلَيْهِمْ آَيَاتُهُ زَادَتْهُمْ إِيمَانًا وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ
‘‘একমাত্র তারাই প্রকৃত মুমিন যাদের সামনে আল্লাহর কথা স্মরণ করা হলে তাদের অন্তরে ভয়ের সঞ্চার হয়। আর যখন তাদের সামনে আল্লাহর আয়াত পাঠ করা হয়, তখন তাদের ঈমান বৃদ্ধি পায় এবং তারা স্বীয় প্রভুর উপর ভরসা করে। (সূরা আনফালঃ ২)
ব্যাখ্যাঃ আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস রাযিয়াল্লাহু আনহু এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেনঃ মুনাফিকরা যখন ফরয এবাদত সম্পাদন করে, তখন তাদের অন্তরে আল্লাহর সামান্যতম যিকিরও প্রবেশ করেনা, আল্লাহর কোনো আয়াতের প্রতিও বিশ্বাস স্থাপন করেনা, আল্লাহর প্রতি তারা কোনো ভরসা করেনা, মানুষের চোখের আড়াল হলে তারা নামাযও আদায় করেনা এবং মালের যাকাত আদায় করেনা। তাই আল্লাহ তাআলা সংবাদ দিয়েছেন যে, তারা মুমিন নয়। অতঃপর আল্লাহ তাআলা মুমিনদের গুণাগুণ বর্ণনা করতে গিয়ে বলেনঃ ‘‘একমাত্র তারাই প্রকৃত মুমিন যাদের সামনে আল্লাহর কথা স্মরণ করা হলে তাদের অন্তরে ভয়ের সঞ্চার হয়’’। তাই তারা আল্লাহ তাআলার ফরয এবাদতগুলো সম্পাদন করে। ইমাম ইবনে জারীর এবং ইবনে আবী হাতিম ইবনে আববাসের উপরোক্ত ব্যাখ্যা বর্ণনা করেছেন।
ইমাম সুদ্দী (রঃ) বলেন, এখানে ঐ ব্যক্তি উদ্দেশ্য, যে যুলুম করতে চায় অথবা পাপ কাজের ইচ্ছা করে। যখন তাকে বলা হয়, اِتَّقِ اللَّه আল্লাহকে ভয় করো তখন তার অন্তরে কম্পন সৃষ্টি হয়। ইবনে আবী শায়বা ও ইবনে জারীর এই কথা বর্ণনা করেছেন।
وَإِذَا تُلِيَتْ عَلَيْهِمْ آَيَاتُهُ زَادَتْهُمْ إِيمَانًا ‘‘আর যখন তাদের সামনে আল্লাহর আয়াত পাঠ করা হয় তখন তাদের ঈমান বেড়ে যায়’’ঃ এই আয়াত এবং এ রকম অন্যান্য আয়াত দ্বারা সাহাবী, তাবেঈ এবং তাদের পথের অনুসারী আহলে সুন্নাতগণ দলীল গ্রহণ করেছেন যে, ঈমান বাড়ে ও কমে।
وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ ‘‘তারা তাদের প্রভুর উপর ভরসা করে’’ঃ অর্থাৎ মুমিনগণ শুধু আল্লাহর উপরই ভরসা করে, তাদের কাজ-কর্মসমূহ কেবল আল্লাহর কাছেই সোপর্দ করে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো কাছে কিছু আশা করেনা এবং তাঁকে ব্যতীত অন্য কাউকে লক্ষ্যস্থল বানায়না। দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ অর্জনের জন্য তাওয়াক্কুল একটি বিরাট মাধ্যম। উপরোক্ত আয়াতে প্রকৃত মুমিনদেরকে ইখলাসের মাকামাতগুলো থেকে এমন তিনটি মাকামাতের দ্বারা বৈশিষ্টমন্ডিত করেছেন, যেগুলো ঈমানের দাবী অনুযায়ী ফরয ও মুস্তাহাব সমস্ত আমলকে আবশ্যক করে।
আল্লাহ তাআলা বলেনঃ يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ حَسْبُكَ اللَّهُ وَمَنِ اتَّبَعَكَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ ‘‘হে নবী! তোমার জন্য এবং যেসব মুমিন তোমার সাথে রয়েছে তাদের সবার জন্য আল্লাহ্ই যথেষ্ট’’।
ব্যাখ্যাঃ ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রঃ) বলেনঃ আপনার জন্য এবং আপনার অনুসারীদের জন্য আল্লাহ একাই যথেষ্ট। আল্লাহর সাথে তারা অন্য কারো প্রতি মুখাপেক্ষী নন। শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমীয়া (রঃ) এই অর্থকেই পছন্দ করেছেন।
আল্লাহ তাআলা আরো বলেনঃ وَمَنْ يَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ فَهُوَ حَسْبُه ‘‘যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্য আল্লাহ তাআলাই যথেষ্ট’’। (সূরা তালাকঃ ৩)
ব্যাখ্যাঃ ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রঃ) এবং অন্যান্য আলেমগণ বলেনঃ আল্লাহর উপর ভরসাকারীর জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। অতএব, আল্লাহ তাআলা যার জন্য যথেষ্ট হবেন এবং তিনি যার হেফাযতকারী হবেন, শত্রুরা তার কোনো ক্ষতি করতে পারবেনা। তারা শুধু ততটুকু ক্ষতিই করতে পারবে, যা স্বাভাবিকভাবেই হয়ে থাকে। যেমন গরম-ঠান্ডা, ক্ষুধা-পিপাসা ইত্যাদি। কিন্তু শত্রুরা তাদের মনোবাসনা অনুযায়ী যত ইচ্ছা ক্ষতি করবে- এটি কখনই হবেনা। কোনো কোনো সালাফ বলেনঃ আল্লাহ তাআলা বান্দার প্রত্যেক কাজের বদলা কাজের অনুরূপই নির্ধারণ করেছেন।[1] তিনি তাঁর উপর ভরসা করার বদলা এভাবে নির্ধারণ করেছেন যে, কেউ আল্লাহর উপর ভরসা করলে, আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট হবেন। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে, তাঁর জন্য আল্লাহ তাআলাই যথেষ্ট। আল্লাহ তাআলা এখানে বলেন নি যে, তার জন্য এত এত পুরস্কার রয়েছে। যেমন বলেছেন অন্যান্য আমলের ক্ষেত্রে। তিনি তার উপর ভরসাকারী বান্দার জন্য নিজেকেই যথেষ্ট বানিয়েছেন। অতএব আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট হবেন এবং সকল শত্রু ও অনিষ্ট হতে তাকে হেফাযত করবেন।
যেই বান্দা আল্লাহর উপর পরিপূর্ণ ভরসা করবে, সমস্ত আসমান-যমীন এবং তার মধ্যকার সকল বস্ত্ত তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলেও আল্লাহ তাআলা তাঁর সেই বান্দাকে উদ্ধারের ব্যবস্থা করবেন, তার জন্য যথেষ্ট হবেন এবং তাকে মদদ করবেন। ইবনুল কাইয়্যিম (রঃ)এর কথা এখানেই শেষ।
ইবনে আববাস রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ حَسْبُنَا الله وَنِعْمَ الْوَكِيْلُ ‘‘আমাদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনিই সর্বোত্তম কর্ম সম্পাদনকারী’’। এ কথা ইবরাহীম (আঃ) তখন বলেছিলেন, যখন তাঁকে অগ্নিকুন্ডে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। আর উহুদ যুদ্ধের পর মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে লোকেরা যখন বলেছিল, إِنَّ النَّاسَ قَدْ جَمَعُوا لَكُمْ فَاخْشَوْهُم ‘‘লোকেরা আপনাদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী বাহিনী সমাবেশ করেছে। অতএব তাদেরকে ভয় করুন’’। (সূরা আল-ইমরানঃ ১৭৩)। তখন তিনি উক্ত কথা বলেছিলেন। ইমাম বুখারী ও ইমাম নাসাঈ এই হাদীছ বর্ণনা করেছেন।[2]
ব্যাখ্যাঃ حَسْبُنَا الله وَنِعْمَ الْوَكِيْلُ ‘‘আমাদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনিই সর্বোত্তম কর্ম সম্পাদনকারী’’ঃ অর্থাৎ আল্লাহ তাআলার সত্তা সর্বোত্তম সত্তা, যার উপর ভরসাকারীগণ ভরসা করে থাকেন।
ইবরাহীম (আঃ)কে যখন আগুনে নিক্ষেপ করা হল, তখন তিনি উক্ত বাক্যটি বলেছিলেন। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
قَالُوا حَرِّقُوهُ وَانْصُرُوا آَلِهَتَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ فَاعِلِينَ (68) قُلْنَا يَا نَارُ كُونِي بَرْدًا وَسَلَامًا عَلَى إِبْرَاهِيمَ
‘‘তারা বললঃ একে পুড়ে ফেলো এবং তোমাদের উপাস্যদের সাহায্য করো, যদি তোমরা কিছু করতে চাও। আমি বললামঃ হে আগুন! তুমি ইবরাহীমের উপর শীতল ও শান্তিদায়ক হয়ে যাও’’। (সূরা আম্বিয়াঃ ৬৮-৬৯)
আর উহুদ যুদ্ধের পর মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে যখন বলা হয়েছিলঃ ‘‘লোকেরা আপনাদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী বাহিনী জড়ো করেছে, তখন তিনি বলেছিলেনঃ ‘‘হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি’মাল ওয়াকীল্’’। উহুদ যুদ্ধ হতে কুরাইশ গোত্র এবং অন্যান্য আরব সম্প্রদায় যখন ফিরে যায় তখন এই ঘটনা সংঘটিত হয়। তারা যখন ফেরত যাচ্ছিল, তখন তাদের পাশ দিয়ে আব্দুল কায়েস গোত্রের একদল অশ্বারোহী অতিক্রম করল। আবু সুফিয়ান তখন বললঃ তোমরা কোথায় যাচ্ছ? তারা বললঃ আমরা মদীনায় যাচ্ছি। তখন আবু সুফিয়ান বললঃ তোমরা কি আমার পক্ষ হতে মুহাম্মাদকে একটি বার্তা পাঠিয়ে দিবে? তারা বললঃ হ্যাঁ। আবু সুফিয়ান বললঃ তোমরা যখন তাকে পাবে তখন বলবে, আমরা তার বিরুদ্ধে এবং তার সাথীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য সৈন্যবাহিনী সংগ্রহ করেছি। তাদের মধ্যে যারা এখনও জীবিত আছে আমরা তাদের মূলোৎপাটন করবো।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর পাশ দিয়ে সেই অশ্বারোহী দল অতিক্রম করল। তিনি তখন ‘হামরাউল আসাদ’এ অবস্থান করছিলেন। তারা তাঁকে আবু সুফিয়ানের কথা শুনিয়ে দিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন বলেছিলেনঃ حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الوَكِيْلُ ‘‘আমাদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট এবং তিনি সবচেয়ে ভাল কার্য সম্পাদনকারী’’। হাদীছে এসেছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
(إذا وقعتم فى الأمرِ العظيمِ فقُولوا حسبنا اللهُ ونعم الوكيلُ)
‘‘যখন তোমরা বড় মসীবতে পড়বে, তখন বলবেঃ হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি’মাল ওয়াকীল্।[3] এ অধ্যায় থেকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো জানা যায়ঃ
১) আল্লাহর উপর ভরসা ফরয।
২) আল্লাহর উপর ভরসা করা ঈমানের অন্যতম শর্ত।
৩) সূরা আনফালের ২নং আয়াতের ব্যাখ্যা।
৪) উক্ত আয়াতটির তাফসীর অধ্যায়ের শেষাংশেই রয়েছে।
৫) সূরা তালাকের ৩ নং আয়াতের তাফসীর।
৬) حَسْبُنَا الله وَنِعْمَ الْوَكِيْلُ কথাটির গুরুত্বর সম্পর্কে জানা গেল। ইবরাহীম (আঃ) ও মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম বিপদের সময় এই বাক্যটি বলেছিলেন।
[2] - বুখারী, অধ্যায়ঃ আল্লাহর বাণীঃ লোকেরা বললঃ তোমাদের বিরুদ্ধে এক শক্তিশালী বাহিনী জড়ো হয়েছে।
[3] - ইমাম ইবনে কাছীর স্বীয় তাফসীরে এই হাদীছ উল্লেখ করেছেন এবং গারীব (যঈফ) বলেছেন। দেখুনঃ তাফসীরে ইবনে কাছীর, (১/৪৩১)