বড় শির্ক ও ছোট শির্ক বড় শির্কের প্রকারভেদ মোস্তাফিজুর রহমান বিন আব্দুল আজিজ আল-মাদানী ১ টি
৩২. একমাত্র আল্লাহ্ তা’আলা ছাড়াও কেউ কাউকে সুস্থতা দিতে পারে এমন মনে করার শির্ক

একমাত্র আল্লাহ্ তা’আলাই কাউকে সুস্থতা দিতে পারেন। অন্য কেউ নয়। আল্লাহ্ তা’আলা বলেনঃ

«الَّذِيْ خَلَقَنِيْ فَهُوَ يَهْدِيْنِ، وَالَّذِيْ هُوَ يُطْعِمُنِيْ، وَيَسْقِيْنِ، وَإِذَا مَرِضْتُ فَهُوَ يَشْفِيْنِ، وَالَّذِيْ يُمِيْتُنِيْ، ثُمَّ يُحْيِيْنِ، وَالَّذِيْ أَطْمَعُ أَنْ يَغْفِرَ لِيْ خَطِيْئَتِيْ يَوْمَ الدِّيْنِ»

‘‘তিনিই (আল্লাহ্ তা’আলা) আমাকে সৃষ্টি করেছেন। অতএব তিনিই আমাকে সঠিক পথ দেখাবেন। তিনিই আমাকে খাওয়ান ও পান করান এবং আমি যখন অসুস্থ হয়ে পড়ি তখন তিনিই আমাকে সুস্থতা দান করেন। তিনিই আমাকে মৃত্যু দিবেন এবং পুনরুজ্জীবিত করবেন। আশা করি তিনিই কিয়ামতের দিন আমার অপরাধসমূহ ক্ষমা করবেন। (শু’আরা’ : ৭৮-৮২)

’আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী (সা.) তাঁর স্ত্রীদের কেউ অসুস্থ হলে ব্যথার জায়গায় ডান হাত রেখে নিম্নোক্ত দো’আ পড়তেন।

أَذْهِبِ الْبَأْسَ رَبَّ النَّاسِ، وَاشْفِ أَنْتَ الشَّافِـيْ، لاَ شِفَاءَ إِلاَّ شِفَاؤُكَ، شِفَاءً لاَ يُغَادِرُ سَقَمًا

‘‘হে মানব প্রভু! রোগটি দূর করুন এবং পূর্ণ সুস্থতা দান করুন। যার পর আর কোন রোগ থাকবেনা। কারণ, আপনিই সুস্থতা দানকারী এবং সুস্থতা একমাত্র আপনিই দিয়ে থাকেন’’। (বুখারী, হাদীস ৫৬৭৫, ৫৭৪২, ৫৭৪৩, ৫৭৪৪, ৫৭৫০ মুসলিম, হাদীস ২১৯১)