কবর যিয়ারত করতে গিয়ে হাদীছে বর্ণিত ছহীহ দু‘আ পাঠ করবে। অতঃপর কবরবাসীর জন্য দু‘আ করবে। কিন্তু সেখানে কুরআন তেলাওয়াত করা যাবে না। তিনবার সূরা ফাতিহা পাঠ, সাতবার দরূদ পাঠ, সূরা ইখলাছ, ফালাক্ব, নাস পাঠ ইত্যাদি যে প্রথা চালু আছে তা সম্পূর্ণ বিদ‘আতী প্রথা। সূরা ইয়াসীন পাঠ করা সম্পর্কে যে বর্ণনা প্রচলিত আছে তা জাল।
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ النَّبِىُّ مَنْ دَخَلَ الْمَقَابِرَ فَقَرَأَ سُوْرَةَ ( يس ) خُفِّفَ عَنْهُمْ يَوْمَئِذٍ وَكاَنَ لَهُ بِعَدَدٍ مَا فِيْهَا حَسَنَاتٌ.
আনাস ইবনু মালেক (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি কবরস্থানে প্রবেশ করে সূরা ইয়াসীন পাঠ করবে, সে দিন কবরবাসীর আযাব হালকা করা হবে। আর তার জন্য প্রত্যেক অক্ষরের বিনিময়ে নেকী রয়েছে।[1]
তাহক্বীক্ব : বর্ণনাটি জাল বা মিথ্যা। এর সনদে আবু উবায়দাহ, আইয়ুব বিন মুদরিক ও আহমাদ রিইয়াহী নামে তিন জন ত্রুটিপূর্ণ রাবী আছে।[2]
[2]. সিলসিলা যঈফাহ হা/১২৪৬।