প্রয়োজনে মসজিদে জানাযা পড়া যায়। অথচ অনেকে বাধা দিয়ে থাকে। এখানেও যঈফ হাদীছের ভূমিকা আছে।
عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ مَنْ صَلَّى عَلَى جَنَازَةٍ فِى الْمَسْجِدِ فَلاَ شَىْءَ عَلَيْهِ.
আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি মসজিদে জানাযা পড়বে তার জন্য কোন কিছুই নেই। অন্য বর্ণনায় এসেছে, তার উপর কিছুই নেই।[1]
তাহক্বীক্ব : উক্ত বর্ণনার সনদে ছালেহ মাওলা তাওআমাহ নামে একজন রাবী আছে সে দুর্বল। ইমাম আহমাদও তাকে যঈফ বলেছেন।[2] বরং প্রয়োজনে মসজিদে জানাযার ছালাত আদায় করা যাবে। যেমন-
عَنْ أَبِىْ سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ عَائِشَةَ لَمَّا تُوُفِّىَ سَعْدُ بْنُ أَبِى وَقَّاصٍ قَالَتِ ادْخُلُوْا بِهِ الْمَسْجِدَ حَتَّى أُصَلِّىَ عَلَيْهِ فَأُنْكِرَ ذَلِكَ عَلَيْهَا فَقَالَتْ وَاللهِ لَقَدْ صَلَّى رَسُولُ اللهِ عَلَى ابْنَىْ بَيْضَاءَ فِى الْمَسْجِدِ سُهَيْلٍ وَأَخِيهِ.
আবু সালামা বিন আব্দুর রহমান হতে বর্ণিত, যখন সা‘দ বিন আবী ওয়াক্কাছ মারা গেলেন, তখন আয়েশা (রাঃ) বললেন, তোমরা তার লাশ মসজিদে নিয়ে আস; যাতে আমি জানাযা পড়তে পারি। এতে তার প্রতি অস্বীকৃতি জানান হলে তিনি বলেন, নিশ্চয় রাসূল (ছাঃ) বায়যার দুই সন্তান সুহাইল ও তার ভাইয়ের জানাযা মসজিদে পড়েছিলেন।[3]
[2]. আলবানী, আছ-ছামারুল মুস্তাত্বাব, পৃঃ ৭৬৬।
[3]. মুসলিম হা/২২৯৮, ১/৩১২ পৃঃ, ‘জানাযা’ অধ্যায়, ‘মসজিদে জানাযা পড়া’ অনুচ্ছেদ-৩৪, (ইফাবা হা/২১২৩); মিশকাত হা/১৬৫৬, পৃঃ ১৪৫; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/১৫৬৭, ৪/৫৭ পৃঃ।