ছালাতে ধীরস্থিরতা না থাকার মূল কারণ ফেক্বহী মূলনীতি :
উক্ত হাদীছে ছালাতের মধ্যে তা‘দীলে আরকানকে রুকুন গণ্য করা হয়েছে, যা ব্যতীত ছালাত হবে না। অথচ ফিক্বহী মূলনীতি রচনা করতে গিয়ে উক্ত হাদীছকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। যেমন-
لاَ يَجُوْزُ إِلْحَاقُ تَعْدِيْلِ الْأَرْكَانِ وَهُوَ الطَّمَانِيْنَةُ فِى الرُّكُوْعِ وَالسُّجُوْدِ وَالْقَوْمَةِ بَعْدَ الرُّكُوْعِ وَالْجِلْسَةِ بَيْنَ السَّجْدَتَيْنِ بِأَمْرِ الرُّكُوْعِ وَالسُّجُوْدِ.
‘তা‘দীলে আরকান বা ধীরস্থিরতাকে সম্পৃক্ত করা জায়েয নয়। আর সেটা হল, রুকূ ও সিজদায়, রুকূর পর দাঁড়ানো অবস্থায় এবং দুই সিজদার মাঝে ধীরস্থিরতা অবলম্বন করা। রুকূ ও সিজদার আদেশের কারণে’।[1]
ব্যাখ্যা : আল্লাহ তা‘আলা যেহেতু শুধু রুকূ ও সিজদা করার কথা বলেছেন, ধীরস্থিরতার কথা বলেননি (হজ্জ ৭৭)। আর হাদীছে এসেছে ধীরস্থিরতা অবলম্বন করতে হবে। তাই হাদীছের হুকুম এখানে গ্রহণযোগ্য নয়।[2]
সুধী পাঠক! কে না জানে যে, হাদীছ পবিত্র কুরআনের ব্যাখ্যা? আল্লাহ রুকূ ও সিজদা করার নির্দেশ দিয়েছেন, কিন্তু কিভাবে করতে হবে তা রাসূল (ছাঃ) বাস্তবে শিক্ষা দিয়েছেন। অথচ উক্ত মূলনীতি রচনা করে হাদীছের হুকুমকে হত্যা করা হয়েছে। তা‘দীলে আরকান না থাকার কারণে উক্ত মুছল্লীকে রাসূল (ছাঃ) তিনবার ছালাত আদায় করার নির্দেশ দিলেন। যার উপর আমল না করলে ছালাতই হবে না। আর সেই হাদীছকে উদ্ভট মূলনীতি দ্বারা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। মূলতঃ মুসলিম সমাজের বিরুদ্ধে এটি সূক্ষ্ম চক্রান্ত। এ কারণেই দুই সিজদার মাঝের দু‘আকে বাদ দেয়া হয়েছে। তাড়াহুড়ার কারণে রুকূ-সিজদা সঠিকভাবে করা যায় না এবং তাসবীহও পাঠ করা যায় না।
হে ইমাম ও আলেম ছাহেব! আপনার হৃদয়ে কি সামান্যতম আল্লাহর ভয় নেই? আল্লাহ কি আপনাকে পাকড়াও করতে পারবেন না? আপনার কাছে কি মরণের ফেরেশতা আসবেন না? কবরে কি আপনার হিসাব হবে না? আপনার মনগড়া ছালাতের কারণে কত মুছল্লীর ছালাত নষ্ট হচ্ছে তা কি আপনি কখনো ভেবে দেখছেন? শ্বাস বন্ধ হওয়ার পূর্বেই নিজে সংশোধন হৌন এবং মুছল্লীদেরকে সংশোধন করার চেষ্টা করুন।
[2]. নূরুল আনওয়ার, পৃঃ ১৮।