যে যে সূরা ও আয়াতের জবাব দিতে হবে :
(ক) সূরা আ‘লার প্রথম আয়াত পাঠ করলে বলবে سُبْحَانَ رَبِّىَ الأَعْلَى (সুবহা-না রবিবয়াল আ‘লা)।[1]
(খ) সূরা ক্বিয়ামাহ-এর শেষে বলবে سُبْحَانَكَ فَبَلَى (সুবহা-নাকা ফা বালা)।[2]
(গ) সূরা রহমানের আয়াত ‘ফাবি আইয়ে আ-লা-ই রাবিবকুমা তুকায্যিবা-ন’ -এর জবাবে বলবে لاَ بِشَىْءٍ مِنْ نِعَمِكَ رَبَّنَا نُكَذِّبُ فَلَكَ الْحَمْدُ (লা বিশায়ইম মিন নি‘আমিকা রববানা নুকায্যিবু ফালাকাল হাম্দ)।[3]
(ঘ) সূরায়ে গাশিয়া-র শেষে اللهُمَّ حَاسِبْنِىْ حِسَابًا يَسِيْرًا (আল্লা-হুম্মা হা-সিবনী হিসা-বাঁই ইয়াসীরা) বলা যায়।[4] উল্লেখ্য, হাদীছে সূরা গাশিয়া উল্লেখ নেই। রাসূল (ছাঃ) কোন ছালাতে এভাবে বলতেন। ছালাতের মধ্যে কুরআন তেলাওয়াতের সময় হিসাব নেয়ার কথা আসলে এটা বলা যাবে। উত্তম হল নফল ছালাতে বলা।[5] তবে যেকোন ছালাতে শেষ তাশাহহুদে বসে দরূদের পর পড়া যাবে।[6]
[2]. আবুদাঊদ হা/৮৮৪, ১/১২৮ পৃঃ, সনদ ছহীহ।
[3]. তিরমিযী হা/৩২৯১, ২/১৬৪ পৃঃ, ‘সূরা রহমানের তাফসীর’ অনুচ্ছেদ, সনদ হাসান; মিশকাত হা/৮৬১; ছহীহাহ হা/২১৫০।
[4]. আহমাদ হা/২৪২৬১; ছহীহ ইবনে হিববান হা/৭৩২৮, সনদ ছহীহ; মিশকাত হা/৫৫৬২, ‘ক্বিয়ামতের অবস্থা’ অধ্যায়, ‘হিসাব ও মীযান’ অনুচ্ছেদ।
[5]. আলবানী, তামামুল মিন্নাহ, পৃঃ ১৮৫।
[6]. আহমাদ হা/২৪২৬১; ছহীহ ইবনে হিববান হা/৭৩২৮, সনদ ছহীহ; মিশকাত হা/৫৫৬২; ছিফাতু ছালাতিন নবী, পৃঃ ১৮৪।