(৭) জেহরী ছালাতে ‘আঊযুবিল্লাহ’ ও ‘বিসমিল্লাহ’ সরবে পড়া :
অনেক মসজিদে উক্ত আমল দেখা যায়। ঐ সমস্ত ইমামদের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছালেও কোন গুরুত্ব দেন না। এটা গোঁড়ামী মাত্র। কারণ ‘আঊযুবিল্লাহ’ ও ‘বিসমিল্লাহ’ নীরবেই পড়তে হবে। ‘বিসমিল্লাহ’ জোরে বলার পক্ষে যে বর্ণনা রয়েছে তা যঈফ। আর ‘আঊযুবিল্লাহ’ জোরে বলার কোন দলীলই নেই।
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ صَلَّى مُعَاوِيَةُ بِالْمَدِيْنَةِ صَلاَةً فَجَهَرَ فِيْهَا بِالْقِرَاءَةِ فَلَمْ يَقْرَأْ (بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ) لأُمِّ الْقُرْآنِ وَلَمْ يَقْرَأْ بِهَا لِلسُّورَةِ الَّتِى بَعْدَهَا وَلَمْ يُكَبِّرْ حِيْنَ يَهْوِى حَتَّى قَضَى تِلْكَ الصَّلاَةَ فَلَمَّا سَلَّمَ نَادَاهُ مَنْ سَمِعَ ذَلِكَ مِنَ الْمُهَاجِرِيْنَ وَالأَنْصَارِ مِنْ كُلِّ مَكَانٍ يَا مُعَاوِيَةُ أَسَرَقْتَ الصَّلاَةَ أَمْ نَسِيْتَ قَالَ فَلَمْ يُصَلِّ بَعْدَ ذَلِكَ إِلاَّ قَرَأَ ( بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ) لأُمِّ الْقُرْآنِ وَلِلسُّورَةِ الَّتِى بَعْدَهَا..
একদা মু‘আবিয়া (রাঃ) মদ্বীনার মসজিদে এশার ছালাতের ইমামতি করেন। সেখানে তিনি সরবে ক্বিরাআত করেন। কিন্তু ‘সূরা ফাতিহার সাথে ‘বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রাহীম’ পড়লেন না। এরপর অন্য সূরা পাঠ করার সময়ও ‘বিসমিল্লাহ’ পড়লেন না। যখন রুকূতে গেলেন তখন তাকবীরও দিলেন না। যখন তিনি সালাম ফিরালেন তখন বিভিন্ন দিক থেকে আনছার ও মুহাজির ছাহাবীরা এসে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কি ছালাত চুরি করলেন না ভুলে গেলেন? তারপর থেকে তিনি আর কখনো সূরা ফাতিহা ও অন্য সূরার সাথে ‘বিসমিল্লাহ’ পড়া ছাড়েননি অর্থাৎ সরবে পড়েছেন।[1]
তাহক্বীক্ব : উক্ত বর্ণনা যঈফ। ইমাম দারাকুৎনী উক্ত আছার বর্ণনা করেই তাকে যঈফ বলেছেন। কারণ এর সনদে মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ বিন উবাইদ বিন উমাইর নামক যঈফ রাবী আছে।[2] ইবনু মাঈন, নাসাঈ, আলী ইবনুল মাদ্বীনী প্রমুখ মুহাদ্দিছ যঈফ বলেছেন।[3]
[2]. দারাকুৎনী হা/১১৯৯ ও ১২০০।
[3]. নাছবুর রাইয়াহ ১/৩৫৩ পৃঃ।