যদি বাস্তবে তাই হয়ে থাকে, তাহলে ওদের প্রত্যেকের উপর আল্লাহ্র নিকট তওবা করা ওয়াজেব; এই নিকৃষ্টতম অপরাধ হতে বিরত হবে, অশালীনতায় পড়ার ফলে যা ঘটে গেছে, তার উপর খুব লজ্জিত হবে, এমন নোংরামীর পথে পুনরায় পা না বাড়াতে দৃঢ়সংকল্প হবে এবং অধিক অধিক সৎকাজ করবে। সম্ভবতঃ আল্লাহ উভয়কে ক্ষমা করে দেবেন এবং তাদেরকে পাপসমূহকে পুন্যে পরিণত করবেন। যেমন তিনি বলেন,
“যার আল্লাহ্র সঙ্গে অন্য উপাস্যকে আহবান করে না, আল্লাহ যাকে যথার্থ কারণ ব্যতিরেকে হত্যা নিষেধ করেছেন, তাকে হত্যা করে না এবং ব্যভিচার করে না। যারা এগুলো করে তারা শাস্তি ভোগ করবে। কিয়ামতের দিন ওদের শাস্তি দ্বিগুণ করা হবে এবং সেখানে তারা হীন অবস্থায় স্থায়ী হবে। তবে তারা নয়, যারা তওবা করে, (পূর্ণ) ঈমান এনে সৎকার্য করে, আল্লাহ ওদের পাপরাশীকে পুন্যে পরিবর্তিত করে দেবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। যে ব্যক্তি তওবা করে ও সৎকাজ করে, সে সম্পূর্ণরূপে আল্লাহ্র অভিমুখী হয়।” (সূরা ফুরকান ৬৮-৭১ আয়াত)
আর ঐ ব্যক্তি যদি ঐ মহিলাকে বিবাহ করতে চায়, তাহলে বিবাহ বন্ধনের পূর্বে এক মাসিক দেখে তাকে (গর্ভবতী কি না তা) পরীক্ষা করে নেবে। যদি (মাসিক না হয় এবং) তার গর্ভ প্রকাশ পায়, তাহলে তার বিবাহ বন্ধন ততক্ষণ পর্যন্ত বৈধ হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না সে সন্তান প্রসব করেছে। যেহেতু রসূল (সঃ) অপরের ফসলকে নিজের পানি দ্বারা সিঞ্চিত (অর্থাৎ গর্ভবতী নারীকে বিবাহ করে সঙ্গম) করতে নিষেধ করেছেন। ৫৪২ (আবূ দাঊদ) (লাজনাহ দায়েমাহ)