একই সফরে বারবার উমরাহ; একবার মায়ের জন্য, দ্বিতীয়বার বাবার জন্য, তৃতীয়বার দাদীর জন্য এবং একইভাবে আর কারো জন্য (বা নিজের জন্য) তানঈম থেকে আসা যাওয়া করে আদায় করা বিধিসম্মত নয়। তাছাড়া মৃতের নামে হজ্জ করার চেয়ে দুআ করাই উত্তম। ৪১২ (ঐ ২/১৯৮, ২৬৬)
“ইবাদতে মৌলিক দুটি শর্ত পূরণ হওয়া জরুরী; ইখলাস ও মুহাম্মাদি তরীকা। (যারা এক সফরে বার বার উমরাহ করে)তারা কি সাহাবা থেকেও ভাল কাজে বেশী আগ্রহী? আল্লাহ্র কসম! না। তারা তাঁদের থেকে বেশী আগ্রহী নয়। আল্লাহ্র শরীয়তের ব্যপারে সাহাবা থেকে বেশী জ্ঞানী নয়। তারা একটি হাদিস পেশ করে প্রমাণ করুক যে, সাহাবাগন রমযান অথবা অরমযানে বরাবর উমরাহ করতেন। জেনে রাখুন, এ ব্যপারে কোন সহীহ অথবা যয়ীফ একটি হরফ ও নেই, যাতে প্রমাণ হয় যে, সাহাবাগন রমযান বা অন্য মাসে বরাবর উমরাহ করেছেন। অথবা কেউ উমরাহ থেকে হালাল হলে আবার তানঈম গিয়ে আর একটি উমরাহ করবে। এমনকি মক্কাবাসীদের ফাক্বীহ ইমাম আত্বা (রাহিমাহুল্লাহ)বলেছেন, ‘জানি না যে, যারা তানঈম গিয়ে উমরাহ করেছে, তারা গোনাহগার হবে, নাকি সওয়াব পাবে!’ অর্থাৎ, তাঁদের এ কাজে কষ্ট আছে, কোন সওয়াব নেই; আল্লাহ্র পানাহ। যেহেতু তারা শরীয়তের বহির্ভূত কাজ করে।” ৪১৩ (ইউঃ আল-লিক্বাউশ শাহরী ৪১/১)
আর বিদিত যে, সে যুগে সফর অতিশয় কষ্ট হওয়া সত্ত্বেও মহানবী (সঃ) তথা সাহাবাগন এক সফরে একাধিক উমরার সুযোগ গ্রহণ করেননি। তাহলে এ যুগে সফর সহজ হওয়া সত্ত্বেও সে সুযোগ গ্রহণ করার কি যুক্তি থাকতে পারে?