যে মসজিদে কবর আছে, সে মসজিদে নামাজ হয় না। মসজিদে কবর দেওয়া অথবা কবরের উপরে মসজিদ বানানো বৈধ নয় কেন? অথচ মহানবী (সাঃ) এর কবর মসজিদের ভিতরে রয়েছে।

বৈধ নয়, যেহেতু মহানবী (ﷺ) তা নিষেধ করে গেছেন। আর তার কবর মসজিদের ভিতরে মনে হলেও তাতে কিন্তু বৈধতার দলীল নেই। কারনঃ
প্রথমতঃ মসজিদে নববী নবী (ﷺ) নিজে বানিয়েছেন। সুতরাং তার কবরের উপর মসজিদ হয়নি।


দ্বিতীয়তঃ তার ইন্তেকালের পর তার কবর মসজিদ হয়নি। বরং তার কবর হয়েছিল মা আয়েশা (রাঃ) ঘরের ভিতরে।


তৃতীয়তঃ মসজিদে নববী সম্প্রসারণের সময় মা আয়েশার ঘর যখন মসজিদের শামিলে আনা হয়, তখন তা সাহাবাগনের ঐক্যমতে ছিল না। বরং সেই সময় অধিকাংশ সাহাবা পরলোকগত। আর তা ছিল প্রায় ৯৪ হিজরীতে। যে সকল সাহাবা তখন বর্তমান ছিলেন, তাদের মধ্যে অনেকেই সে কাজের প্রতিবাদ করেছেন। তাবেঈনদের মধ্যে যারা প্রতিবাদ করেছেন, তাদের মধ্যে সাঈদ বিন মুসাইয়িব অন্যতম।


চতুর্থতঃ মা আয়েশার হুজরা মসজিদে শামিল হওয়ার পরেও কবর মসজিদে নয়। বরং তা পৃথক কক্ষে সংরক্ষিত আছে। তিন তিনটি দেওয়াল ও রেলিং দিয়ে তা পৃথক করা আছে। ভিতরের দেওয়াল দেওয়া আছে তিনকোণা আকারে, যাতে তার পশ্চাতে কেউ নামায পড়তে দাঁড়ালে সরাসরি কবর সামনে না পড়ে ।
বলা বাহুল্য, মহানবী (ﷺ) এর কবর দেখে মসজিদের ভিতর কবর দেওয়ার বৈধতার দলীল পেশ করা শুদ্ধ নয়। (৫)

(৫) ইবনে উষাইমীন