অনেক সময় নবী (সঃ)-এর হুজরার আশেপাশে চিরকুট পড়ে থাকতে দেখা যায়, তাতে থাকে নানা আবেদন। সে আবেদন করা হয় নবী (সঃ)-এর কাছে। কেউ লেখে চাকরি চাই, কেউ লেখে সুখ-সমৃদ্ধি চাই, কেউ কেউ লেখে কিয়ামতে সুপারিশ চাই, কেউ লেখে ভাল স্বামী চাই ইত্যাদি। নবী (সঃ)-এর দরবারে এমন দরখাস্ত পেশ করার শরয়ী বিধান কি?

নবী (সঃ)-এর দরবারে এমন দরখাস্ত পেশ করা শিরকে আকবার। যেহেতু তিনি এ দরখাস্ত সম্পর্কে জানতে পারেন না, এ দরখাস্ত মঞ্জুর করার মতো ক্ষমতাও তাঁর নেই। এ ক্ষমতা কেবল মহান আল্লাহ্‌র হাতে। তিনি তাঁকে বলেছেন,
বল, ‘আমি তোমাদেরকে এ বলি না যে, আমার নিকট আল্লাহ্‌র ধনভাণ্ডার আছে, অদৃশ্য সমন্ধেও আমি অবগত নই এবং তোমাদেরকে এ কথাও বলি না যে, আমি ফিরিশতা। আমার প্রতি যা প্রত্যাদেশ হয় আমি শুধু তারই অনুসরণ করি!’ বল, ‘অন্ধ ও চক্ষুমান কি সমান? তোমরা কি অনুধাবন কর না?’ (আনআমঃ ৫০)
বল, ‘আমি তোমাদের অপকার অথবা উপকার কিছুরই মালিক নই।’ (জীনঃ ২১)
মহানবী (ﷺ) তাঁর আত্মীয় ও বংশকে সম্বোধন করে বলে গেছেন, “হে কুরাইশদল! তোমরা আল্লাহ্‌র নিকট নিজেদেরকে বাঁচিয়ে নাও, আমি তোমাদের ব্যাপারে আল্লাহ্‌র নিকট কোন উপকার করতে পারব না। হে বানী আব্দুল মুত্তালিব! আমি আল্লাহ্‌র দরবারে আপনার কোন কাজে আসব না। যে আল্লাহ্‌র রসূলের ফুফু সাফিয়্যাহ! আমি আপনার জন্য আল্লাহ্‌র দরবারে কোন উপকারে আসব না। হে আল্লাহ্‌র রসূলের বেটী ফাতেমা! আমার কাছে যে ধন-সম্পদ চাইবে চেয়ে নাও, আমি আল্লাহ্‌র কাছে তোমার কোন উপকার করতে পারব না” ২৭ (বুখারী-মুসলিম)
মনের আকুল আবেদন শ্রবণ করেন একমাত্র মহান আল্লাহ। তিনি বলেছেন “অথবা তিনি, যিনি আর্তের আহবানে সাড়া দেন, যখন সে তাঁকে ডাকে এবং বিপদ-আপদ দূরীভূত করেন এবং তোমাদেরকে পৃথিবীর প্রতিনিধি করেন। আল্লাহ্‌র সঙ্গে অন্য কোন উপাস্য আছে কি? তোমরা অতি সামান্যই উপদেশ গ্রহণ করে থাক (নামলঃ ৬২)

২৭ (বুখারী-মুসলিম)