অমুসলিমরা একই শ্রেণিভুক্ত নয়। এ ব্যাপারে আল কুরআনের নির্দেশ নিম্নরূপ,
“হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা ইহুদি ও খ্রিস্টানদেরকে তোমাদের বন্ধু রূপে গ্রহণ করো না। তাঁরা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে কেউ তাদেরকে বন্ধুরুপে গ্রহণ করলে, সে তাদেরই একজন গণ্য হবে। নিশ্চয় আল্লাহ অত্যাচারী সম্প্রদায়কে সৎ পথে পরিচালিত করেন না। (মায়িদাহঃ ৫১)
“হে বিশ্বাসীগণ! তোমার শত্রু ও তোমাদের শত্রুকে বন্ধুরুপে গ্রহণ করো না। তোমরা তাদের কাছে বন্ধুত্বের বার্তা পাঠাও, অথচ তাঁরা তোমাদের নিকট যে সত্য এসেছে, তা প্রত্যাখ্যান করেছে, রাসুলকে ও তোমাদেরকে বহিষ্কৃত করছে এই কারণে যে, তোমরা তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহকে বিশ্বাস কর। যদি তোমরা আমার সন্তুষ্টি লাভের জন্য আমার পথে জিহাদের উদ্দেশ্যে বহির্গত হয়ে থাক (তাহলে তাদেরকে বন্ধু রূপে গ্রহণ করো না)। তোমরা গোপনে তাদের প্রতি বন্ধুত্বের বার্তা পাঠাও, অথচ তোমরা যা গোপন কর এবং তোমরা যা প্রকাশ কর, তা আমি সম্যক অবগত। তোমাদের যে কেউ এটা করে, সে ত সরল পথ হতে বিচ্যুত হয়।” (মুমতাহিনাহঃ ১)
“ হে বিশ্বাসীগণ! তোমাদের পিতা ও ভ্রাতৃ গন যদি ইমানের মুকাবিলায়কুফুরকে পছন্দ করে, তাহলে তাদেরকে অভিভাবক রূপে গ্রহণ করো না। তোমাদের মধ্যে যারা যাদেরকে অভিভাবক রূপে গ্রহণ করবে তাঁরাই হবে অত্যাচারী।” (তাওবাহঃ২৩)
“তুমি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী এমন কোন সম্প্রদায় পাবে না, জারা ভালবাসে আল্লাহ ও তার রাসুলের বিরুদ্ধাচারিকে। হক না এই বিরুদ্ধা চারীরা তাদের পিতা, পুত্র, ভ্রাতা অথবা তাদের জাতি-গোত্র। তাদের অন্তরে আল্লাহ ইমান লিখে দিয়েছেন এবং তাদেরকে শক্তিশালী করেছেন তার পক্ষ হতে রূহ (জ্যোতি ও বিজয়) দ্বারা। তিনি তাদেরকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতে। যার নিম্নদেশে নদীমালা প্রবাহিত, সেখানে তারা চিরস্থায়ী হবে, আল্লাহ তাদের অতি প্রসন্ন এবং তারাও তার প্রতি সন্তুষ্ট। তাঁরাই আল্লাহর দল। জেনে রেখো যে, আল্লাহর দলই সফলকাম। (মুজাদালাহঃ ২২)
“ দ্বীনের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেনি এবং তোমাদেরকে স্বদেশ হতে বহিষ্কার করেনি, তাদের প্রতি মহানুভবতা প্রদর্শন ও ন্যায় বিচার করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না। নিশ্চয় আল্লাহ ন্যায় পরায়ণদেরকে ভালোবাসেন।। আল্লাহ শুধু তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেন যারা দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের সাথে যুদ্ধ করেছে, তোমাদেরকে স্বদেশ থেকে বহিষ্কার করেছে এবং তোমাদেরকে বহিষ্করণে সহযোগিতা করেছে। তাদের সাথে যারা বন্ধুত্ব করে, তাঁরাইতো অত্যাচারী।” (মুমতাহিনাহঃ ৮-৯ )