ইয়াহুদি খ্রিস্টানদের সতী মহিলা হলে তাকে মুসলিম না বানিয়ে হলেও যথা নিয়মে বিবাহ করা চলবে। অন্য কোন ধর্মের মহিলা হলে তাকে মুসলমান না বানিয়ে বিবাহ করা বৈধ নয়। পক্ষান্তরে মুসলমান না বানিয়ে কোন বিধর্মী পুরুষের সাথে মুসলিম মহিলার বিবাহ বৈধ নয়। বৈধ নয় বিধর্মী স্বামীর সাথে সংসার করা, যদিও সে নিজে মুসলিম হিসাবে জীবন যাপন করে বলে দাবি করে। কেউ করলে আজীবন ব্যভিচার করা হবে।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার উদ্দেশ্যে মুসলিম অমুসলিম বৈবাহিক সম্পর্ক কায়েম করা জরুরী নয়। জরুরী নয় একের অন্যের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা করা। যে উদারতায় ইমান নষ্ট হয়ে যায়, সে উদারতা কিসের উপকারী? আর ভালবাসার কথা? মহান আল্লাহ বলেন,
“তুমি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী এমন কোন সম্প্রদায় পাবে না, যারা ভালবাসে আল্লাহ ও তার রাসুলের বিরুদ্ধাচারিকে। হোক না এই বিরুদ্ধাচারীরা তাদের পিতা, পুত্র, ভ্রাতা অথবা তাদের জাতি-গোত্র। তাদের অন্তরে আল্লাহ ইমান লিখে দিয়েছেন এবং তাদেরকে শক্তিশালী করেছেন তার পক্ষ হতে রূহ (জ্যোতি ও বিজয়) দ্বারা। তিনি তাদেরকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতে। যার নিম্নদেশে নদীমালা প্রবাহিত, সেখানে তারা চিরস্থায়ী হবে, আল্লাহ তাদের অতি প্রসন্ন এবং তারাও তার প্রতি সন্তুষ্ট। তাঁরাই আল্লাহর দল। জেনে রেখো যে, আল্লাহর দলই সফলকাম। (মুজাদালাহঃ ২২)