মহিলাদের দেহে তিন প্রকার লোম আছে।
(ক) যা তুলে ফেলা ওয়াজেব। যেমন বগল ও গুপ্তাঙ্গের লোম।
(খ) যা তুলে ফেলা হারাম। যেমন ভ্রুর লোম।
(গ) যে লোম তোলার ব্যাপারে কোন আদেশ নিষেধ নেই, তা তুলে ফেলা বৈধ। যেমন পিঠ বা পায়ের লোম। অনুরূপ চেহারার পুরুষের মতো দাড়ি গোঁফের অস্বাভাবিক লোম।
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, “আল্লাহ্র অভিশাপ হোক সেই সব নারীদের উপর, যার দেহাঙ্গে উল্কি উৎকীর্ণ করে এবং যার উৎকীর্ণ করায় এবং সে সব নারীদের উপর, যারা ভ্রু চেঁছে সরু করে, যার সৌন্দর্যের মানসে দাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করে, যারা আল্লাহ্র সৃষ্টির মধ্যে পরিবর্তন আনে।” জনৈক মহিলা এ ব্যাপারে তাঁর (ইবনে মাসঊদের) প্রতিবাদ করলে তিনি বললেন, “আমি কি তাঁকে অভিসম্পাত করব না, যাকে আল্লাহ্র রাসুল (ﷺ) অভিসম্পাত করেছেন এবং আল্লাহ্র কিতাবে আছে?” আল্লাহ বলেছেন, “রাসুল (ﷺ) যে বিধান তোমাদেরকে দিয়েছেন তা গ্রহণ কর, আর যা থেকে নিষেধ করেছেন, তা থেকে বিরত থাক।” (সূরা হাশর ৭ আয়াত)