সাউদী আরবের অধিকাংশ লোকেরা নামাযে ‘জালসায়ে ইস্তিরাহাহ’ করে না কেন?
সেখানকার অধিকাংশ উলামা মনে করেন, তা সুন্নত নয়। কারণ নবী (সঃ) এর নামায পদ্ধতির অধিকাংশ হাদীসে তা বর্ণিত হয়নি। কেবল মালেক বিন হুয়াইরিসের একটিমাত্র হাদিসে তা বর্ণিত হয়েছে। ১৮৫ আর তাঁর মনে করেন, নবী (সঃ) বার্ধক্য অথবা অন্য কারণে উক্ত (দ্বিতীয় বা চতুর্থ রাকাআতে ওঠার পূর্বে)বৈঠকে বসেছেন। তবে সঠিক এই যে উক্ত ‘জালসাহ’ সর্বদা মুস্তাহাব। আর অন্য বর্ণনায় উল্লেখ না হওয়া এ কথার দলীল নয় যে, তা সুন্নত বা মুস্তাহাব নয়। যেহেতু নবী (সঃ) যে কাজ করেন, সাধারণতঃ তা অনুসরনীয় তারিকা হিসেবেই করেন। তাছাড়া আবূ হুমাইদ সায়েদীর হাদীসেও উক্ত জালসার কথা উল্লেখ হয়েছে। তিনি দশজন সাহাবীর সামনে ঐ জলসাহ করে নবী (সঃ) এর নামাযের পদ্ধতি বর্ণনা করেছেন এবং সকলেই তা সমর্থন করেছেন। ১৮৬
১৮৫ (বুখারী ৮১৮ নং), ১৮৬ (আহমাদ ৫/৪২৪, আবূ দাঊদ ৭০৩ নং)(লাজনাহ দায়েমাহ)