দ্বীনী প্রশ্নোত্তর নামায আবদুল হামীদ ফাইযী ১ টি
জামাআত শেষে অনেক সময় মসজিদে সুন্নত পড়ি। এমন সময় কোন লোক আমার পাশে দাঁড়িয়ে আমার ইক্তিদা করতে থাকে। এটা কি বৈধ? বৈধ হলে আমার কি করা উচিত?

জামায়াতের সওয়াব নেওয়ার উদ্দেশ্যে তা বৈধ। তখন আপনার উচিৎ ইমামতি নিয়ত করে তাকবীরাদি সশব্দে পড়া। আপনি সুন্নত পড়ছেন এবং সে নিশ্চয় ফরয পড়ছে। আপনাদের এই নিয়তের ভিন্নতা নামাযের কোন ক্ষতি করবে না। সাহাবী মুআয বিন জাবাল (রঃ) আল্লাহ্‌র রাসুল (সঃ) এর সাথে নামায পড়তেন, তারপর নিজের গোত্রে ফিরে গিয়ে তাদের ইমামতি করে ঐ নামাযই পড়তেন। ১৪৫ তাঁর প্রথম নামায ফরয হতো এবং শেষেরটা নফল।

একদা তিনি সালাম ফিরে দেখলেন, মসজিদের এক প্রান্তে দুই ব্যক্তি জামাআতে নামায পড়েনি। কারণ জিজ্ঞাসা করলে তাঁরা কাঁপতে কাঁপতে বলল, ‘আমরা আমাদের বাসায় নামায পড়ে নিয়েছি।’ তিনি বললেন, “এমনটি আর করো না। বরং যখন তোমাদের কেউ নিজ বাসায় নামায পড়ে নেয়, অতঃপর (মসজিদে এসে) দেখে যে, ইমাম নামায পড়েনি, তখন সে যেন (দ্বিতীয়বার) তাঁর সাথে নামায পড়ে। আর এ নামায তাঁর জন্য নফল হবে।” ১৪৬

মহানবী (সঃ) একদা এক ব্যক্তিকে একাকী নামায পড়তে দেখলে তিনি অন্যান্য সাহাবীদের উদ্দেশ্যে বললেন, “এমন কেউ কি নেই, যে এর সাথে নামায পড়ে একে (জামাআতের সওয়াব)দান করবে?” এ কথা শুনে এক ব্যক্তি উঠে তাঁর সাথে নামায পড়ল। ১৪৭ অথচ সে মহানবী (সঃ) এর সাথে ঐ নামায পূর্বে পড়েছিল। সুতরাং ইমামের ছিল ফরয এবং মুক্তাদীর নফল।

এ থেকে আরো বুঝা যায় যে, জামাআত শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয় জামাআত কায়েম করা দোসাবহ নয়।

১৪৫ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ১১৫০ নং) , ১৪৬ (আবূ দাঊদ ৫৭৫, তিরমিযী, নাসাঈ, মিশকাত ১১৫২ নং), ১৪৭ (আবূ দাঊদ ৫৭৪, তিরমিযী, মিশকাত ১১৪৬ নং)