অতএব তুমি তোমার রবের হুকুমের জন্য ধৈর্যধারণ কর। আর তুমি মাছওয়ালার মত হয়ো না, যখন সে দুঃখে কাতর হয়ে ডেকেছিল। আল-বায়ান
কাজেই তুমি তোমার প্রতিপালকের হুকুমের জন্য ধৈর্য ধরে অপেক্ষা কর, আর মাছওয়ালা [ইউনুস (আঃ)] এর মত (অধৈর্য) হয়ো না। স্মরণ কর যখন সে (তার প্রতিপালককে ডাক দিয়েছিল চিন্তায় দুঃখে আচ্ছন্ন হয়ে। তাইসিরুল
অতএব তুমি ধৈর্য ধারণ কর তোমার রবের নির্দেশের অপেক্ষায়, তুমি মৎস্য সহচরের ন্যায় অধৈর্য হয়োনা, সে বিষাদ আচ্ছন্ন অবস্থায় কাতর প্রার্থনা করছিল। মুজিবুর রহমান
Then be patient for the decision of your Lord, [O Muhammad], and be not like the companion of the fish when he called out while he was distressed. Sahih International
৪৮. অতএব আপনি ধৈর্য ধারণ করুন আপনার রবের নির্দেশের অপেক্ষায়, আর আপনি মাছওয়ালার ন্যায় হবেন না, যখন তিনি বিষাদ আচ্ছন্ন অবস্থায় আহবান করেছিলেন।(১)
(১) পবিত্ৰ কুরআনের অন্যত্র এ ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, মাছের পেটের এবং সাগরের পানির অন্ধকারে ইউনুস আলাইহিস সালাম উচ্চস্বরে এ বলে প্রার্থনা করলেনঃ তোমার পবিত্র সত্তা ছাড়া আর কোন সত্য ইলাহ নেই। আসলে আমি অপরাধী। আল্লাহ তা'আলা তার ফরিয়াদ গ্ৰহণ করলেন এবং তাকে এ দুঃখ ও মুসিবত থেকে মুক্তি দান করলেন। [সূরা আম্বিয়া: ৮৭–৮৮]
তাফসীরে জাকারিয়া(৪৮) অতএব তুমি ধৈর্যধারণ কর তোমার প্রতিপালকের নির্দেশের অপেক্ষায়,[1] তুমি তিমি-ওয়ালা[2] (ইউনুস)এর মত অধৈর্য হয়ো না, যখন সে বিষাদ আচ্ছন্ন অবস্থায় কাতর প্রার্থনা করেছিল। [3]
[1] فَاصْبِر এ ‘ফা’ হরফটি তাফরী’র (পরবর্তী বাক্যকে পূর্বোক্ত বাক্যের শাখাস্বরূপ সংযুক্ত করার) জন্য ব্যবহার হয়েছে। অর্থাৎ, যখন ঘটনা এইরূপ নয়, তখন হে নবী! তুমি তোমার রিসালতের দায়িত্ব পালন করে যাও এবং মিথ্যাজ্ঞানকারীদের ব্যাপারে আল্লাহর ফায়সালার অপেক্ষা কর।
[2] যে নিজের জাতির নিকট মিথ্যাজ্ঞানের আচরণ লক্ষ্য করে তাড়াহুড়া করেছিল এবং স্বীয় প্রতিপালকের ফায়সালা ও অনুমতি ছাড়াই নিজের জাতিকে ছেড়ে চলে গিয়েছিল।
[3] যার কারণে তাঁকে দুঃখাকুল অবস্থায় স্বীয় প্রতিপালককে সাহায্যের জন্য ডাকতে হয়েছিল। (এর বিস্তারিত আলোচনা পূর্বে উল্লিখিত হয়েছে।)
তাফসীরে আহসানুল বায়ান