দুনিয়ার জীবন তো কেবল খেল-তামাশা ও অর্থহীন কথাবার্তা। আর যদি তোমরা ঈমান আন এবং তাকওয়া অবলম্বন কর, তবে তিনি তোমাদেরকে তোমাদের প্রতিদান দিবেন এবং তিনি তোমাদের কাছে ধন-সম্পদ চাইবেন না। আল-বায়ান
দুনিয়ার এ জীবন তো খেলা আর তামাশা মাত্র। তোমরা যদি ঈমান আন, আর আল্লাহকে ভয় করে চল, তিনি তোমাদেরকে তোমাদের প্রতিফল দিবেন (আর এর বিপরীতে) তিনি তোমাদের কাছে তোমাদের মাল ধন চাইবেন না। তাইসিরুল
পার্থিব জীবনতো শুধু ক্রীড়া-কৌতুক। যদি তোমরা ঈমান আন ও তাকওয়া অবলম্বন কর তাহলে আল্লাহ তোমাদের পুরস্কার দিবেন এবং তিনি তোমাদের ধন সম্পদ চাননা। মুজিবুর রহমান
[This] worldly life is only amusement and diversion. And if you believe and fear Allah, He will give you your rewards and not ask you for your properties. Sahih International
৩৬. দুনিয়ার জীবন তো শুধু খেল-তামাশা ও অর্থহীন কথাবার্তা। আর যদি তোমরা ঈমান আন এবং তাকওয়া অবলম্বন কর তবে আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের পুরস্কার দেবেন এবং তিনি তোমাদের ধন-সম্পদ চান না।(১)
(১) আয়াতে বাহ্যিক অর্থ এই যে, আল্লাহ তা'আলা তোমাদের কাছে তোমাদের ধনসম্পদ চান না। এর অর্থ হচ্ছে আল্লাহ তোমাদের ধনসম্পদ তোমাদের কাছ থেকে নিজের কোন উপকারের জন্যে চান না; বরং তোমাদেরই উপকারের জন্যে চান। এই আয়াতেও (يُؤْتِكُمْ أُجُورَكُمْ) শব্দ দ্বারা এই উপকারের উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ তোমাদেরকে আল্লাহর পথে ব্যয় করার জন্যে বলার কারণ এই যে, তোমরা সওয়াবের প্রতি সর্বাধিক মুখাপেক্ষী হবে। তখন এই ব্যয় তোমাদেরই কাজে লাগবে এবং সেখানে তোমাদেরকে এর প্রতিদান দেয়া হবে। এর নজীর হচ্ছে এই আয়াত: (مَا أُرِيدُ مِنْهُم مِّن رِّزْقٍ) অর্থাৎ আল্লাহ বলেনঃ আমি তাদের কাছে নিজের জন্যে কোন জীবনোপকরণ চাই না। আমার এর প্রয়োজনও নেই। [দেখুন: ইবন কাসীর বাগভী, কুরতুবী, ফাতহুল কাদীর]
তাফসীরে জাকারিয়া(৩৬) পার্থিব জীবন তো শুধু খেল-তামাশা মাত্র।[1] যদি তোমরা বিশ্বাস কর ও আল্লাহ-ভীরুতা অবলম্বন কর, তাহলে আল্লাহ তোমাদেরকে পুরস্কার দেবেন। আর তিনি তোমাদের ধন-সম্পদ চান না। [2]
[1] অর্থাৎ, একটি ধোঁকা ও প্রতারণা মাত্র। এর কোন জিনিসের না আছে ভিত্তি, না আছে তার স্থায়িত্ব এবং না আছে তার কোন মূল্য।
[2] অর্থাৎ, তিনি তোমাদের ধন-সম্পদের মুখাপেক্ষী নন। আর এ জন্যই তিনি তোমাদের কাছে যাকাত হিসাবে তোমাদের নিকট সমস্ত ধন-সম্পদ চাননি; বরং তা থেকে অতি সামান্যতম অংশ চান। অর্থাৎ শতকরা আড়াই ভাগ মাত্র। আবার তাও এক বছর পূর্ণ হবার পর প্রয়োজনের অতিরিক্ত (নিসাব পরিমাণ) হলে। উপরন্তু এর উদ্দেশ্যও আল্লাহর সেই বান্দাদের সাহায্য-সহযোগিতা করা, যারা তোমাদেরই ভাই। তিনি এ দিয়ে তাঁর রাজত্বের প্রয়োজন পূরণ করেন না।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান