৪১:১৭ وَ اَمَّا ثَمُوۡدُ فَهَدَیۡنٰهُمۡ فَاسۡتَحَبُّوا الۡعَمٰی عَلَی الۡهُدٰی فَاَخَذَتۡهُمۡ صٰعِقَۃُ الۡعَذَابِ الۡهُوۡنِ بِمَا كَانُوۡا یَكۡسِبُوۡنَ ﴿ۚ۱۷﴾
و اما ثمود فهدینهم فاستحبوا العمی علی الهدی فاخذتهم صعقۃ العذاب الهون بما كانوا یكسبون ﴿۱۷﴾

আর সামূদ সম্প্রদায়, আমি তাদেরকে সঠিক পথের নির্দেশনা দিয়েছিলাম; কিন্তু তারা সঠিক পথে চলার পরিবর্তে অন্ধ পথে চলাই পছন্দ করেছিল। ফলে তাদের অর্জনের কারণেই লাঞ্ছনাদায়ক আযাবের বজ্রাঘাত তাদেরকে পাকড়াও করল। আল-বায়ান

আর সামূদের অবস্থা এই যে, আমি তাদেরকে সঠিক পথে চলার নির্দেশ দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা সঠিক পথে চলার পরিবর্তে অন্ধ হয়ে থাকাকেই পছন্দ করে ছিল। তখন তাদের কৃতকর্মের কারণে অপমানজনক শাস্তির বজ্রাঘাত তাদেরকে পাকড়াও করল। তাইসিরুল

আর সামূদ সম্প্রদায়ের ব্যাপার এই যে, আমি তাদেরকে পথ নির্দেশ করেছিলাম, কিন্তু তারা সৎ পথের পরিবর্তে ভ্রান্ত পথ অবলম্বন করেছিল। অতঃপর তাদেরকে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি আঘাত হানলো তাদের কৃতকর্মের পরিণাম স্বরূপ। মুজিবুর রহমান

And as for Thamud, We guided them, but they preferred blindness over guidance, so the thunderbolt of humiliating punishment seized them for what they used to earn. Sahih International

১৭. আর সামূদ সম্প্রদায়, আমরা তাদেরকে পথনির্দেশ করেছিলাম, কিন্তু তারা সৎপথের পরিবর্তে অন্ধপথে চলা পছন্দ করেছিল। ফলে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তির বজ্রাঘাত তাদের পাকড়াও করল; তারা যা অর্জন করেছিল তার জন্য।

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(১৭) আর সামূদ সম্প্রদায়ের ব্যাপার তো এই যে, আমি ওদেরকে পথনির্দেশ করেছিলাম;[1] কিন্তু ওরা সৎপথের পরিবর্তে ভ্রান্তপথ অবলম্বন করেছিল।[2] অতঃপর ওদের কৃতকর্মের পরিণামস্বরূপ ওদেরকে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি আঘাত হানল। [3]

[1] অর্থাৎ, তাদেরকে তাওহীদের দাওয়াত দিয়েছিলাম, তার প্রমাণাদি তাদের সামনে স্পষ্ট করেছিলাম এবং তাদের নবী সালেহ-এর মাধ্যমে তাদের উপর হুজ্জত কায়েম করেছিলাম।

[2] অর্থাৎ, তারা বিরোধিতা করে ও মিথ্যা ভাবে। এমনকি শেষ পর্যন্ত তারা সেই উটনীকেও যবাই করে দেয়, যাকে মু’জিযা স্বরূপ তাদের দাবী অনুযায়ী পাহাড় থেকে বের করা হয়েছিল এবং তা ছিল নবীর সত্যতার দলীল।

[3] صَاعِقَةٌ বলা হয় কঠিন আযাবকে। এই কঠিন আযাব তাদের উপর বিকট শব্দ এবং ভূমিকম্প আকারে আসে। যাতে তাদেরকে লাঞ্ছনা ও অপমান সহ ধ্বংস করে দেওয়া হয়।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান