বরং আমি মিথ্যার উপর সত্য নিক্ষেপ করি; ফলে তা মিথ্যাকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয় এবং নিমিষেই তা বিলুপ্ত হয়। আর তোমাদের জন্য রয়েছে দুর্ভোগ তোমরা যা বলছ তার জন্য । আল-বায়ান
বরং আমি সত্যকে মিথ্যের উপর নিক্ষেপ করি, অতঃপর তা মিথ্যের মস্তক চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয়, তৎক্ষণাৎ মিথ্যে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। তোমরা (আল্লাহ সম্পর্কে অযথা বহু মিথ্যে কথা বানিয়ে নিয়ে) যা বলছ এ কারণে তোমাদের জন্য দুর্ভোগ। তাইসিরুল
কিন্তু আমি সত্য দ্বারা আঘাত হানি মিথ্যার উপর; ফলে ওটা মিথ্যাকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয় এবং তৎক্ষণাৎ মিথ্যা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। দুর্ভোগ তোমাদের! তোমরা যা বলছ তার জন্য। মুজিবুর রহমান
Rather, We dash the truth upon falsehood, and it destroys it, and thereupon it departs. And for you is destruction from that which you describe. Sahih International
১৮. বরং আমরা সত্য দ্বারা আঘাত হানি মিথ্যার উপর; ফলে তা মিথ্যাকে চূৰ্ণ-বিচূর্ণ করে দেয় এবং তৎক্ষণাৎ মিথ্যা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।(১) আর তোমরা আল্লাহকে যে গুণে গুণান্বিত করছ তার জন্য রয়েছে তোমাদের দুর্ভোগ!(২)
(১) আয়াতের উদ্দেশ্য এই যে, পৃথিবী ও আকাশের অত্যাশ্চর্য বস্তুসমূহ আমি খেলার জন্য নয়, বরং বড় বড় রহস্যের উপর ভিত্তিশীল করে সৃষ্টি করেছি। তন্মধ্যে সত্য ও মিথ্যার পার্থক্য ফুটিয়ে তোলাও এক রহস্য। সৃষ্ট জগতের অবলোকন মানুষকে সত্যের দিকে এমনভাবে পথ প্রদর্শন করে যে, মিথ্যা তার সামনে টিকে থাকতে পারে না। এ বিষয়বস্তুটিই এভাবে ব্যক্ত করা হয়েছে যে, সত্যকে মিথ্যার উপর ছুড়ে মারা হয়, ফলে মিথ্যার মস্তিষ্ক চূৰ্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায় এবং মিথ্যা নিশ্চিহ্ন হয়ে পড়ে। [দেখুন, ইবন কাসীর]
(২) এ আয়াতে আল্লাহ সম্পর্কে তাদের যাবতীয় কু ধারণার মুলোৎপাটন করা হয়েছে। তারা আল্লাহকে তার সমস্ত কর্মকাণ্ড থেকে বিমুক্ত করে রাখে। তারা তাঁকে মনে করে থাকে যে, তিনি এমনিতেই আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন, কোন সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য ছাড়া। এ সমস্ত মিথ্যা কথা ও রটনা দ্বারা আল্লাহকে খারাপ বিশেষণে বিশেষিত করা হয় বিধায় এ আয়াতে তাদেরকে ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে। [দেখুন, কুরতুবী; ইবন কাসীর; ফাতহুল কাদীর]
তাফসীরে জাকারিয়া(১৮) বরং আমি সত্য দ্বারা মিথ্যার উপর আঘাত হানি; সুতরাং তা মিথ্যাকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয়; ফলে মিথ্যা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। [1] তোমরা যা বর্ণনা করছ তার জন্য দুর্ভোগ তোমাদের! [2]
[1] বিশ্ব সৃষ্টির উদ্দেশ্যসমূহের মধ্যে একটি বিশেষ উদ্দেশ্য এই যে, এখানে ন্যায় ও অন্যায়ের যে দ্বন্দ্ব, ভালো ও মন্দের মধ্যে যে সংঘর্ষ চলছে তার মধ্যে ন্যায় ও ভালোকে বিজয়ী করা ও অন্যায় ও মন্দকে পরাজিত করা। সুতরাং আমি সত্য দ্বারা অসত্যের উপর, ন্যায় দ্বারা অন্যায়ের উপর এবং ভালো দ্বারা মন্দের উপর আঘাত করি, যাতে অসত্য, অন্যায় ও মন্দের বিলুপ্তি ঘটে। دمغ মাথার উপর এমন আঘাতকে বলা হয় যা মগজ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। আর زهق এর অর্থ শেষ হওয়া, ধ্বংস হওয়া বা বিনষ্ট হওয়া।
[2] অর্থাৎ, প্রতিপালকের প্রতি তোমরা যে সব ভিত্তিহীন কথা আরোপ করছ বা উদ্ভব করছ (যেমন এ পৃথিবী একটি খেলনা মাত্র, একজন খেলোয়াড়ের বাজে শখ, আল্লাহর স্ত্রী বা সন্তান আছে ইত্যাদি) তা তোমাদের ধ্বংসের মূল কারণ। কেননা এটাকে খেলতামাশা মনে করার ফলে তোমরা সত্য হতে দূর হওয়া এবং অসত্যকে বরণ করার ব্যাপারে কোন প্রকার দ্বিধা ও ভীতি অনুভব কর না, যার শেষ পরিণাম তোমাদের ধ্বংস ও সর্বনাশ।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান