সে বলল, ‘আমি তোমাদের সাথে তাকে কখনো পাঠাব না, যতক্ষণ না তোমরা আমাকে আল্লাহর নামে অঙ্গীকার প্রদান কর যে, তাকে অবশ্যই আমার কাছে নিয়ে আসবে। তবে তোমরা (শত্রু বা বিপদ দ্বারা) বেষ্টিত হলে ভিন্ন কথা’। অতঃপর যখন তারা তাকে প্রতিশ্রুতি দিল, তখন সে বলল, ‘আমরা যা বলছি সে ব্যাপারে আল্লাহই সাক্ষী’। আল-বায়ান
(পিতা) বলল- ‘আমি তাকে তোমাদের সাথে কিছুতেই পাঠাবো না যতক্ষণ না তোমরা আল্লাহর নামে শপথ কর যে, তোমরা তাকে আমার কাছে নিয়ে আসবেই যদি না তোমাদেরকে একযোগে ঘিরে ফেলা হয়।’ অতঃপর তারা যখন তার কাছে প্রতিজ্ঞা করল তখন সে বলল, ‘আমরা যে কথা বলছি আল্লাহই তার সাক্ষী ও অভিভাবক।’ তাইসিরুল
পিতা বললঃ আমি ওকে কখনও তোমাদের সাথে পাঠাবনা যতক্ষণ না তোমরা আল্লাহর নামে অঙ্গীকার কর যে, তোমরা তাকে আমার নিকট নিয়ে আসবেই, অবশ্য যদি তোমরা একান্ত অসহায় হয়ে না পড়। অতঃপর যখন তারা তার নিকট প্রতিজ্ঞা করল তখন সে বললঃ আমরা যে বিষয়ে কথা বলছি, আল্লাহ তার বিধায়ক। মুজিবুর রহমান
[Jacob] said, "Never will I send him with you until you give me a promise by Allah that you will bring him [back] to me, unless you should be surrounded by enemies." And when they had given their promise, he said, "Allah, over what we say, is Witness." Sahih International
৬৬. পিতা বললেন, আমি তাকে কখনোই তোমাদের সাথে পাঠাবো না যতক্ষণ না তোমরা আল্লাহর নামে অঙ্গীকার কর যে, তোমরা তাকে আমার কাছে নিয়ে আসবেই(১), অবশ্য যদি তোমরা বেষ্টিত হয়ে পড় (তবে ভিন্ন কথা)। তারপর যখন তারা তার কাছে প্রতিজ্ঞা করল তখন তিনি বললেন, আমরা যে বিষয়ে কথা বলছি, আল্লাহ তার বিধায়ক।(২)
(১) এসব কথা শুনে পিতা উত্তর দিলেন, আমি বিনইয়ামীনকে তোমাদের সাথে ততক্ষণ পর্যন্ত পাঠাব না, যতক্ষণ না তোমরা আল্লাহর কসমসহ এরূপ ওয়াদা-অঙ্গীকার আমাকে দাও যে, তোমরা অবশ্যই তাকে সাথে নিয়ে আসবে। ঐ অবস্থা ব্যতীত, যখন তোমরা সবাই কোন বেষ্টনীতে পড়ে যাও। তাফসীরবিদ মুজাহিদ বলেনঃ এর অর্থ এই যে, তোমরা সবাই মৃত্যুমুখে পতিত হও। [কুরতুবী] কাতাদাহর মতে অর্থ এই যে, তোমরা সম্পূর্ণ অক্ষম ও পরাভূত হয়ে পড়। [ইবন কাসীর]
(২) অর্থাৎ ছেলেরা যখন প্রার্থিত পন্থায় ওয়াদা-অঙ্গীকার করল অর্থাৎ সবাই কসম করল এবং পিতাকে আশ্বস্ত করার জন্য কঠোর ভাষায় প্রতিজ্ঞা করল, তখন ইয়াকুব 'আলাইহিস সালাম বললেনঃ বিনইয়ামীনের হেফাজতের জন্য হলফ নেয়া-হলফ করার যে কাজ আমরা করেছি, আল্লাহ্ তা'আলার উপরই তার নির্ভর। তিনি শক্তি দিলেই কেউ কারো হেফাযত করতে পারে এবং দেয়া অঙ্গীকার পূর্ণ করতে পারে। [কুরতুবী] নতুবা মানুষ অসহায়; তার ব্যক্তিগত সামর্থাধীন কোন কিছুই নয়।
তাফসীরে জাকারিয়া(৬৬) পিতা বলল, ‘আমি ওকে কক্ষনো তোমাদের সাথে পাঠাব না, যতক্ষণ না তোমরা আল্লাহর নামে অঙ্গীকার কর যে, তোমরা তাকে আমার নিকট অবশ্যই ফিরিয়ে আনবে; তবে তোমরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়লে সে কথা ভিন্ন।’[1] অতঃপর যখন তারা তাঁর নিকট অঙ্গীকার করল, তখন সে বলল, ‘আমরা যা কিছু বলছি, আল্লাহ তার বিধায়ক।’
[1] অর্থাৎ, তোমরা সকলে বিপদগ্রস্ত হয়ে পড় অথবা তোমরা ধ্বংস কিংবা গ্রেপ্তার হয়ে যাও, যা থেকে নিষ্কৃতি পেতে তোমরা অসমর্থ, তাহলে তা ভিন্ন কথা, উক্ত পরিস্থিতিতে তোমাদের ওযর গ্রহণযোগ্য হবে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান