৯১ সূরাঃ আশ-শামস | Ash-Shams | سورة الشمس - আয়াত নং - ১৩ - মাক্কী
তখন আল্লাহর রাসূল তাদেরকে বলেছিল, ‘আল্লাহর উষ্ট্রী ও তার পানি পান সম্পর্কে সতর্ক হও।’ আল-বায়ান
তখন আল্লাহর রাসূল (সালিহ) তাদেরকে বলল, ‘এটা আল্লাহর উটনি, একে পানি পান করতে বাধা দিও না। তাইসিরুল
তখন আল্লাহর রাসূল তাদেরকে বললঃ আল্লাহর উষ্ট্রী ও, ওকে পানি পান করানোর বিষয়ে সাবধান হও, মুজিবুর রহমান
And the messenger of Allah [Salih] said to them, "[Do not harm] the she-camel of Allah or [prevent her from] her drink." Sahih International
১৩. তখন আল্লাহর রাসূল তাদেরকে বললেন, আল্লাহর উষ্ট্রী ও তাকে পানি পান করানোর বিষয়ে সাবধান হও।(১)
(১) কুরআন মজীদের অন্যান্য স্থানে এর বিস্তারিত বিবরণ দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, সামূদ জাতির লোকেরা সালেহ আলাইহিস সালামকে বলে দিয়েছিল যে, যদি তুমি সত্যবাদী হও তাহলে কোন নিশানী (মু'জিযা) পেশ করো। একথায় সালেহ আলাইহিস সালাম মু'জিযা হিসেবে একটি উটনী তাদের সামনে হাযির করেন, তিনি বলেনঃ এটি আল্লাহর উটনী। যমীনের যেখানে ইচ্ছা সে চরে বেড়াবে। একদিন সে একা সমস্ত পানি পান করবে এবং অন্যদিন তোমরা সবাই ও তোমাদের পশুরা পানি পান করবে। যদি তোমরা তার গায়ে হাত লাগাও তাহলে মনে রেখো তোমাদের ওপর কঠিন আযাব বর্ষিত হবে। একথায় তারা কিছুদিন পর্যন্ত ভয় করতে থাকলো। তারপর তারা তাদের সবচেয়ে হতভাগা লোককে ডেকে একমত হলো এবং বলল, এই উটনীটিকে শেষ করে দাও। সে এই কাজের দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে এলো। [দেখুন: সূরা আল-আ’রাফঃ ৭৩. আশ-শু'আরাঃ ১৫৪–১৫৬ এবং আল-ক্বামারঃ ২৯]
তাফসীরে জাকারিয়া১৩। তখন আল্লাহর রসূল তাদেরকে বলল, ‘আল্লাহর উষ্ট্রী ও তাকে পানি পান করাবার বিষয়ে সাবধান হও।’ [1]
[1] অর্থাৎ, সেই উটনীর যেন কোন ক্ষতি না করে। এইরূপ তার পানি পান করার যে দিন ধার্য্য আছে, তাতেও যেন কোন গড়বড় না করা হয়। উটনী ও সামূদ জাতি উভয়ের জন্য পানির পানের এক এক পৃথক দিন ধার্য্য করে দেওয়া হয়েছিল। তা বহাল রাখার তাকীদ করা হল। কিন্তু সে যালেমরা তা পরোয়া করল না।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান