৫১ সূরাঃ আয-যারিয়াত | Adh-Dhariyat | سورة الذاريات - আয়াত নং - ৫৩ - মাক্কী
তারা কি একে অন্যকে এ বিষয়ে ওসিয়াত করেছে? বরং তারা সীমালংঘনকারী কওম। আল-বায়ান
তারা কি বংশ পরম্পরায় এরই অসিয়ত (অর্থাৎ অন্তিম সবক) দিয়ে আসছে, বরং তারা সীমালঙ্ঘনকারী জাতি। তাইসিরুল
তারা কি একে অপরকে এই মন্ত্রণাই দিয়ে এসেছে? বস্তুতঃ তারা এক সীমালংঘনকারী সম্প্রদায়। মুজিবুর রহমান
Did they suggest it to them? Rather, they [themselves] are a transgressing people. Sahih International
৫৩. তারা কি একে অপরকে এমন্ত্রণাই দিয়ে এসেছে? বরং এরা সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়।(১)
(১) অর্থাৎ একথা সুস্পষ্ট যে, হাজার হাজার বছর ধরে প্রতিটি যুগে বিভিন্ন দেশ ও জাতির লোকদের নবী-রাসূলদের দাওয়াতের মোকাবিলায় এই আচরণ করা এবং তাদের বিরুদ্ধে একই রকমের কথা বলার কারণ এ নয় যে, একটি সম্মেলন করে আগের ও পরের সমস্ত মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যখনই কোন নবী এসে এ দাওয়াত পেশ করবে তখনই তাকে এ জবাব দিতে হবে। স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে যে, তাহলে তাদের আচরণের এ সাদৃশ্য এবং একই প্রকৃতির জবাবের ক্রমাগত পুনরাবৃত্তি কেন? এর একমাত্ৰ জবাব এই যে, অবাধ্যতা ও সীমালংঘন এদের সবার সাধারণ বৈশিষ্ট্য। তাছাড়া এ আচরণের আর কোন কারণ নেই। প্রত্যেক যুগের অজ্ঞ লোকেরাই যেহেতু আল্লাহর দাসত্ব থেকে মুক্ত ও তাঁর জিজ্ঞাসাবাদ সম্পর্কে বেপরোয়া হয়ে পৃথিবীতে লাগামহীন পশুর মত জীবন যাপন করতে আগ্রহী তাই শুধু এ কারণে যিনিই তাদেরকে আল্লাহর দাসত্ব ও আল্লাহভীতিমূলক জীবন যাপনের আহবান জানিয়েছেন তাঁকেই তারা একই ধরাবাধা জবাব দিয়ে এসেছে। [দেখুন: কুরতুবী]
তাফসীরে জাকারিয়া(৫৩) তারা কি একে অপরকে এই মন্ত্রণাই দিয়ে এসেছে?[1] বস্তুতঃ তারা এক সীমালংঘনকারী সম্প্রদায়।[2]
[1] অর্থাৎ, পরবর্তী প্রত্যেক সম্প্রদায় এইভাবে রসূলদেরকে মিথ্যাজ্ঞান করে এবং তাঁদেরকে যাদুকর ও পাগল গণ্য করে। যেন পূর্ববর্তী জাতিরা পরবর্তী প্রত্যেক জাতিকে এই অসিয়ত করে গেছে। পরস্পর প্রত্যেক সম্প্রদায় এই মিথ্যাজ্ঞান করার পথই অবলম্বন করেছে।
[2] অর্থাৎ, একে অপরকে অসিয়ত করে যায়নি, বরং প্রত্যেক জাতিই স্ব-স্ব স্থানে সীমালংঘনকারী। এই জন্য তাদের অন্তরও একে অপরের মতনই এবং তাদের চাল-চলনও একই ধরনের। এই কারণে পরবর্তীরাও তাই করেছে এবং বলেছে, যা পূর্ববর্তীরা করেছে ও বলেছে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান