৪৭ সূরাঃ মুহাম্মাদ | Muhammad | سورة محمد - আয়াত নং - ৩৫ মাদানী
অতএব তোমরা হীনবল হয়ো না ও সন্ধির আহবান জানিও না এবং তোমরাই প্রবল। আর আল্লাহ তোমাদের সাথেই রয়েছেন এবং কখনই তিনি তোমাদের কর্মফল হ্রাস করবেন না। আল-বায়ান
কাজেই তোমরা সাহস-হারা হয়ে যেও না আর সন্ধির আবেদন করে বসো না, প্রবল তো তোমরাই। আল্লাহ তোমাদের সঙ্গে আছেন, তিনি তোমাদের ‘আমাল কক্ষনো বিনষ্ট করবেন না। তাইসিরুল
সুতরাং তোমরা হীনবল হয়ো না এবং সন্ধির প্রস্তাব করনা, তোমরাই প্রবল; আল্লাহ তোমাদের সঙ্গে আছেন, তিনি তোমাদের কর্মফল কখনও ক্ষুন্ন করবেন না। মুজিবুর রহমান
So do not weaken and call for peace while you are superior; and Allah is with you and will never deprive you of [the reward of] your deeds. Sahih International
৩৫. কাজেই তোমরা হীনবল হয়ো না এবং সন্ধির প্রস্তাব করো না(১), যখন তোমরা প্রবল; আর আল্লাহ তোমাদের সঙ্গে আছেন(২) এবং তিনি তোমাদের কর্মফল কখনো ক্ষুন্ন করবেন না।(৩)
(১) এ আয়াতে কাফেরদেরকে সন্ধির আহবান জানাতে নিষেধ করা হয়েছে। [বাগভী] কুরআনের অন্যত্র বলা হয়েছে (وَإِنْ جَنَحُوا لِلسَّلْمِ فَاجْنَحْ لَهَا) অর্থাৎ কাফেররা যদি সন্ধির দিকে ঝুকে পড়ে, তবে আপনিও বুকে পড়ুন। [সূরা আল-আনফাল: ৬১]
(২) এখানে সঙ্গে থাকার অর্থ, সাহায্য-সহযোগিতা ও জ্ঞানে সাথে থাকা। নতুবা আল্লাহ তার আরশের উপরই রয়েছেন।
(৩) অৰ্থাৎ যখন তোমাদের মধ্যে তিনটি গুণ থাকবে তখন তোমাদের জন্য হীনবল হওয়া, কাফেরদের সাথে সন্ধি করা উচিত হবে না। আর সে গুণ তিনটি হলো: ১. যখন তোমাদের এ ঈমান থাকবে যে, তোমরা কাফেরদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ এবং তোমরা কাফেরদের উপর প্রবল ২. আল্লাহ সাহায্য-সহযোগিতাকারী হিসেবে তোমাদের সাথে আছেন বলে তোমাদের ঈমান থাকবে ৩. আর আল্লাহ তোমাদের কোন কাজের প্রতিদান দেয়ায় এতটুকুও কমতি করবেন না। [দেখুন: তবারী, বাগভী, ফাতহুল কাদীর]
তাফসীরে জাকারিয়া(৩৫) সুতরাং তোমরা হীনবল হয়ো না এবং সন্ধির প্রস্তাব করো না; যখন তোমরাই প্রবল[1] এবং আল্লাহ তোমাদের সঙ্গে আছেন। [2] আর তিনি তোমাদের কর্মফল কখনো নষ্ট করবেন না। [3]
[1] অর্থ হল, তোমরা যখন সংখ্যা ও শক্তি-সামর্থ্যের দিক দিয়ে শত্রুদের উপর প্রবল ও তাদের থেকে অনেক উন্নত, তখন এমতাবস্থায় কাফেরদের সাথে সন্ধির প্রস্তাব ও দুর্বলতা প্রদর্শন করো না। বরং কুফরীর উপর এমন কড়া আঘাত হান, যেন আল্লাহর দ্বীন উঁচু হয়ে যায়। প্রবল ও উন্নত থাকা অবস্থায় কুফরীর সাথে সন্ধিতে আসার অর্থ হবে, কুফরীর প্রভাব-প্রতিক্রিয়াকে আরো বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করা। আর এটা হল অতি বড় অন্যায়। তবে এর অর্থ এও নয় যে, কাফেরদের সাথে সন্ধি করার অনুমতি নেই। এর অনুমতি অবশ্যই আছে, কিন্তু সব সময় নয়। কেবল সেই সময় এর অনুমতি আছে, যখন মুসলিমরা সংখ্যায় এবং উপায়-উপকরণের দিক থেকে দুর্বল হবে। এ রকম অবস্থায় যুদ্ধ করার চেয়ে সন্ধি করাতেই লাভ বেশী। যাতে মুসলিমরা এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করে নেয়। যেমন স্বয়ং নবী করীম (সাঃ)ও মক্কার কাফেরদের সাথে দশ বছরের জন্য যুদ্ধ-বিরতির সন্ধি-চুক্তি করেছিলেন।
[2] এতে রয়েছে মুসলিমদের জন্য শত্রুর উপর জয়যুক্ত হওয়ার ও সাহায্য লাভের বড়ই সুসংবাদ। যার সাথে থাকেন আল্লাহ, তাকে কে পরাজিত করতে পারে?
[3] বরং তিনি তার পরিপূর্ণ বদলা দেবেন এবং তাতে কোন কমি করবেন না।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান