১০ সূরাঃ ইউনুস | Yunus | سورة يونس - আয়াত নং - ৪১ - মাক্কী
আর তারা যদি তোমাকে মিথ্যাবাদী বলে, তবে তুমি বল, ‘আমার কর্ম আমার, আর তোমাদের কর্ম তোমাদের। আমি যা আমল করি তোমরা তা থেকে মুক্ত এবং তোমরা যা আমল কর আমি তা থেকে মুক্ত’। আল-বায়ান
যদি তারা তোমাকে মিথ্যা জেনে অমান্য ক’রে তাহলে বল, ‘আমার কাজের জন্য আমি দায়ী, আর তোমাদের কাজের জন্য তোমরা দায়ী, আমি যা করি তার দায়-দায়িত্ব থেকে তোমরা মুক্ত, আর তোমরা যা কর তার দায়-দায়িত্ব থেকে আমি মুক্ত।’ তাইসিরুল
আর (এতদসত্ত্বেও) যদি তারা তোমাকে মিথ্যা সাব্যস্ত করতে থাকে তাহলে তুমি বলে দাওঃ আমার কর্মফল আমি পাব, আর তোমাদের কর্মফল তোমরা পাবে। তোমরা আমার কৃতকর্মের জন্য দায়ী নও, আর আমিও তোমাদের কর্মের জন্য দায়ী নই। মুজিবুর রহমান
And if they deny you, [O Muhammad], then say, "For me are my deeds, and for you are your deeds. You are disassociated from what I do, and I am disassociated from what you do." Sahih International
৪১. আর তারা যদি আপনার প্রতি মিথ্যা আরোপ করে তবে আপনি বলুন, ‘আমার কাজের দায়িত্ব আমার এবং তোমাদের কাজের দায়িত্ব তোমাদের। আমি যা করি সে বিষয়ে তোমরা দায়মুক্ত এবং তোমরা যা কর সে বিষয়ে আমিও দায়মুক্ত।(১)
(১) অর্থাৎ অযথা বিরোধ ও কুটতর্ক করার কোন প্রয়োজন নেই। যদি আমি মিথ্যা আরোপ করে থাকি তাহলে আমার কাজের জন্য আমি দায়ী হবো। এর কোন দায়ভার তোমাদের ওপর পড়বে না। আর যদি তোমরা সত্য কথাকে মিথ্যা বলে থাকো তাহলে এর মাধ্যমে আমার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। বরং এর দ্বারা তোমরা নিজেদেরই ক্ষতি করছে। এটা দ্বারা তাদের কাজ-কর্মের স্বীকৃতি নয় বরং তাদের সাথে সম্পর্কচ্যুতির ঘোষণা দেয়া হচ্ছে। যেমনটি সূরা আল-কাফেরূনে বলা হয়েছে। অনুরূপভাবে ইবরাহীম আলাইহিস সালামও তার জাতির সাথে এ ধরণের সম্পর্কচ্যুতির ঘোষণা দিয়ে বলেছিলেনঃ “তোমাদের সংগে এবং তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যার ইবাদাত কর তার সংগে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই। আমরা তোমাদেরকে মানি না। তোমাদের ও আমাদের মধ্যে সৃষ্টি হল শক্রতা ও বিদ্বেষ চিরকালের জন্য; যদি না তোমরা এক আল্লাহতে ঈমান আনো।” [সূরা আল-মুমতাহিনাহঃ ৪]
তাফসীরে জাকারিয়া(৪১) আর যদি তারা তোমাকে মিথ্যা মনে করতে থাকে, তাহলে তুমি বলে দাও, ‘আমার কর্ম(ফল) আমি পাবো, আর তোমাদের কর্ম(ফল) তোমরা পাবে। আমি যে কর্ম করি, তার সাথে তোমাদের কোন সম্পর্ক নেই এবং তোমরা যে কর্ম কর, তার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই।’[1]
[1] অর্থাৎ, সব রকমভাবে বুঝানো ও প্রমাণ পেশ করার পরেও যদি তারা মিথ্যাজ্ঞান করা থেকে বিরত না হয়, তবে তুমি তাদেরকে এই কথা বলে দাও। উদ্দেশ্য হল, আমার কাজ শুধু পৌঁছে দেওয়া, আর তা আমি সম্পন্ন করে ফেলেছি। সুতরাং এখন না তোমরা আমার আমলের যিম্মাদার আর না আমি তোমাদের আমলের যিম্মাদার । সকলকে আল্লাহর দরবারে উপস্থিত হতে হবে, সেখানে সকল ব্যক্তির ভালো ও মন্দ আমলের হিসাব নেওয়া হবে। এটা ঠিক (قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ، لا أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ) এর মতই । আর ইবরাহীম (আঃ) ও তাঁর অনুসারীরা বলেছিলেন, {إِنَّا بُرَآءُ مِنْكُمْ وَمِمَّا تَعْبُدُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ كَفَرْنَا بِكُمْ} .......(الممتحنة -৪) তোমাদের সঙ্গে এবং তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যার উপাসনা কর, তার সঙ্গে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই। আমরা তোমাদেরকে মানি না। তোমাদের ও আমাদের মধ্যে চিরকালের জন্য সৃষ্টি হল শত্রুতা ও বিদ্বেষ, যতক্ষণ না তোমরা এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছ।।’’ (সূরা মুমতাহিনাহ ৪ আয়াত)
তাফসীরে আহসানুল বায়ান