পরিচ্ছেদঃ প্রশ্নকারী যখন সালাতের ওয়াক্ত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন, তখন তাকে সালাতের সময় সম্পর্কে জানানোর জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফজরের সালাত একবার ফর্সা করে আদায় করেন আরেকবার সালাত ফরয হওয়ার প্রথম দিকে যখন জিবরীল আলাইহিস সালাম ইমামতি করেন, তখন একবার ফজরের সালাত ফর্সা করে আদায় করেন, এই দুইবার ছাড়া রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমৃত্যু অন্ধকারে ফজরের সালাতের আদায় করেন; কখনই আর ফর্সা করে আদায় করেননি
১৪৯২. ইবনু শিহাব যুহরী রহিমাহুল্লাহ বলেন, “একবার উমার বিন আব্দুল আযীয রহিমাহুল্লাহ মিম্বারে বসে ছিলেন, অতঃপর তিনি আসরের সালাত কিছুটা বিলম্বে আদায় করেন, তখন উরওয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “আপনি কি জানেন না যে, জিবরাঈল আলাইহিস সালাম রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সালাতের সময় সম্পর্কে অবহিত করেন।” তখন উমার বিন আব্দুল আযীয রহিমাহুল্লাহ বলেন, “হে উরওয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু, আপনি ভেবে দেখুন যে, আপনি কী বলছেন!” জবাবে তিনি বলেন, “আমি বাশীর বিন আবী মাস‘ঊদকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, আমি আবূ মাসঊদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, “আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, “জিবরাঈল অবতরণ করেন অতঃপর আমাকে সালাত আদায় করার সময় সম্পর্কে অবহিত করেন। অতঃপর আমি তাঁর সাথে সালাত আদায় করি। তারপর আবার তাঁর সাথে সালাত আদায় করি। তারপর আবার তাঁর সাথে সালাত আদায় করি। তারপর আবার তাঁর সাথে সালাত আদায় করি। তারপর আবার তাঁর সাথে সালাত আদায় করি।” তিনি আঙ্গুল দিয়ে পাঁচবার গণনা করেন। এছাড়াও আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সূর্য পশ্চিমাকাশে ঢলে যাওয়ার সময় যোহরের সালাত আদায় করতে দেখেছি। আবার প্রচন্ড গরম হলে কোন কোন সময় যোহরের সালাত পিছিয়ে পড়েছেন। আমি তাঁকে আসরের সালাত আদায় করতে দেখেছি যখন সূর্য উঁচুতে ও সাদা থাকতো; যাতে তখনও হলুদ প্রবেশ করতো না। অতঃপর কোন ব্যক্তি সালাত শেষ করে সূর্য অস্ত যাওয়ার আগেই যুলহুলাইফায় পৌঁছে যেতো। তিনি সূর্যাস্তের সময় মাগরিবের সালাত আদায় করতেন। ইশার সালাত আদায় করতেন যখন পশ্চিম দিগন্ত কালো হয়ে যেতো। আবার কোন কোন সময় লোকজন সমবেত হওয়া পর্যন্ত বিলম্ব করতেন। আর ফজরের সালাত কোন কোন সময় অন্ধকারে আদায় করতেন, তারপর আরেকবার ফর্সা হলে আদায় করেছেন। অতঃপর তিনি আমৃত্যু নিয়মিত অন্ধকারে সালাত আদায় করতেন; কখনই আর ফর্সা হলে আদায় করেননি।”[1]
ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ الْمُصْطَفَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يُسفر بِصَلَاةِ الْغَدَاةِ قَطُّ إِلَّا هَذِهِ الْمَرَّةَ حَيْثُ سَأَلَهُ السَّائِلُ عَنْ أَوْقَاتِ الصَّلَوَاتِ فَأَرَادَ إِعْلَامِهِ وَحِينَ أمَّه جِبْرِيلُ فِي ابْتِدَاءِ فَرْضِ الصَّلَاةِ وَمَا عَدَا هَذَيْنِ الْوَقْتَيْنِ كَانَتْ صَلَاتُهُ بِالتَّغْلِيسِ إِلَى أَنْ قَبَضَهُ اللَّهُ إِلَى جَنَّتِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
1492 - أَخْبَرَنَا ابْنُ خُزَيْمَةَ حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ أَخْبَرَنِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ أَنَّ ابْنَ شِهَابٍ أَخْبَرَهُ
أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ كَانَ قَاعِدًا عَلَى الْمِنْبَرِ فأخَّر الصَّلَاةَ شَيْئًا فَقَالَ عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ: أَمَا عَلِمْتَ أَنَّ جِبْرِيلَ قَدْ أَخْبَرَ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِوَقْتِ الصَّلَاةِ فَقَالَ لَهُ عُمَرُ: أَعْلَمُ مَا تَقُولُ يَا عُرْوَةُ فَقَالَ عُرْوَةُ: سَمِعْتُ بَشِيرَ بْنَ أَبِي مَسْعُودٍ يَقُولُ: سَمِعْتُ أَبَا مَسْعُودٍ الْأَنْصَارِيَّ يَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: (نَزَلَ جِبْرِيلُ فَأَخْبَرَنِي بِوَقْتِ الصَّلَاةِ فَصَلَّيْتُ مَعَهُ ثُمَّ صَلَّيْتُ مَعَهُ ثُمَّ صَلَّيْتُ مَعَهُ ثُمَّ صَلَّيْتُ مَعَهُ ثُمَّ صَلَّيْتُ مَعَهُ) فَحَسَبَ بِأَصَابِعِهِ خَمْسَ صَلَوَاتٍ وَرَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي الظُّهْرَ حِينَ تَزُولُ الشَّمْسُ وَرُبَّمَا أخَّرها حِينَ يَشْتَدُّ الْحَرُّ وَرَأَيْتُهُ يُصَلِّي الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ بَيْضَاءُ قَبْلَ أَنْ تَدْخُلَهَا الصُّفْرَةُ فَيَنْصَرِفُ الرَّجُلُ مِنَ الصَّلَاةِ فَيَأْتِي ذَا الْحُلَيْفَةِ قَبْلَ غُرُوبِ الشَّمْسِ وَيُصَلِّي الْمَغْرِبَ حِينَ تَسْقُطُ الشَّمْسُ وَيُصَلِّي الْعِشَاءَ حِينَ يسوَدُّ الْأُفُقُ وَرُبَّمَا أخَّرها حَتَّى يَجْتَمِعُ النَّاسُ وَصَلَّى الصُّبْحُ بِغَلَسٍ ثُمَّ صَلَّى مَرَّةً أُخْرَى فَأَسْفَرَ بِهَا ثُمَّ كَانَتْ صَلَاتُهُ بَعْدَ ذَلِكَ بِالْغَلَسِ حَتَّى مَاتَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَعُدْ إِلَى أن يُسْفِرَ.
الراوي : عُرْوَةُ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1446 | خلاصة حكم المحدث: حسن ـ ((صحيح أبي داود)) (418) , ((الإرواء)) (1/ 269 ـ 270).
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহর সানাদ শক্তিশালী বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে হাসান বলেছেন। (সহীহ আবূ দাঊদ: ৪১৮)