পরিচ্ছেদঃ যখন ইমাম (মুসলিম শাসক) সালাত নির্ধারিত সময় থেকে বিলম্বে আদায় করবে, তখন নির্দেশনা হলো ব্যক্তি নির্ধারিত সময়ে আদায় করবে, তারপর ইমামের সাথে আদায় করবে, এটি তার জন্য নফল হিসেবে গণ্য হবে
১৪৭৯. আমর বিন মাইমূন আল আওদী বলেন, “ইয়ামানে আমাদের কাছে মুয়ায বিন জাবাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আগমন করেন –রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁকে আমাদের কাছে পাঠিয়েছিলেন- অতঃপর আমি ফজরের সালাতে তাঁর তাকবীর ধ্বনি শুনতে পেলাম। -তিনি বুলন্দ আওয়াজের অধিকারী ছিলেন- অতঃপর তাঁর প্রতি আমার ভালবাসা তৈরি হয়ে যায়। যার ফলে শামে তাঁর দাফন পর্যন্ত আমি তাঁর থেকে বিচ্ছিন্ন হইনি। তাঁর মৃত্যুর পর আমি মানুষের মাঝে সবচেয়ে বেশি সমঝদার ব্যক্তি কে সে ব্যাপারে লক্ষ্য করলাম, এবং আব্দুল্লাহ বিন মাস‘ঊদের কাছে আসলাম এবং তাঁর মৃত্যু অবধি তাঁর সাহচর্যে থাকি। তিনি আমাকে বলেছেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “তোমাদের অবস্থা কেমন হবে, যখন তোমাদের উপর এমন কিছু শাসক আসবে, যারা সালাত অসময়ে আদায় করবে?” আমি বললাম, “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যদি আমি সেই জামানা পেয়ে যাই, তবে আপনি আমাকে কী নির্দেশ দিবেন?” জবাবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “তুমি সালাত যথা সময়ে আদায় করবে এবং তাদের সাথে তোমার সালাতকে নফল বানিয়ে নিবে।”[1]
আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বক্তব্য “তাদের সাথে তোমার সালাতকে নফল বানিয়ে নিবে” এতে সবচেয়ে বড় দলীল রয়েছে এই মর্মে যে, ফরয সালাত আদায়কারীর পিছনে নফল সালাত আদায় করার বৈধতা রয়েছে। এটি তার কথার বিপরীত যিনি এর বিপরীত নির্দেশ প্রদান করে। এখানে আরো প্রমাণ রয়েছে যে, নফল সালাত আদায় করা জায়েয।”
ذِكْرُ الْأَمْرِ لِلْمَرْءِ أَنْ يُصَلِّيَ الصَّلَاةَ لِوَقْتِهَا إِذَا أَخَّرَهَا إِمَامُهُ عَنْ وَقْتِهَا ثُمَّ يُصَلِّي مَعَهُ سُبْحَةً لَهُ
1479 - أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ سَلْمٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ حَدَّثَنِي حَسَّانُ بْنُ عَطِيَّةَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَابِطٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ الْأَوْدِيِّ قَالَ: قَدِمَ عَلَيْنَا مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ الْيَمَنَ - بَعَثَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيْنَا - فَسَمِعْتُ تَكْبِيرَهُ مَعَ الْفَجْرِ - رَجُلٌ أَجَشُّ الصَّوْتِ - فأُلقيت عَلَيْهِ مَحَبَّتِي فَمَا فَارَقْتُهُ حَتَّى دَفَنْتُهُ بِالشَّامِ ثُمَّ نَظَرْتُ إِلَى أَفْقَهِ النَّاسِ بَعْدَهُ فَأَتَيْتُ ابْنَ مَسْعُودٍ فَلَزِمْتُهُ حَتَّى مَاتَ فَقَالَ لِي: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (كيف بِكُمْ إِذْا أُمِّرَ عَلَيْكُمْ أُمَرَاءُ يُصَلُّونَ الصَّلَاةَ لِغَيْرِ مِيقَاتِهَا)؟ قُلْتُ: فَمَا تَأْمُرُنِي إِنْ أَدْرَكَنِي ذَلِكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: (صَلِّ الصَّلَاةَ لميقاتها واجعل صلاتك معهم سُبْحَةً)
الراوي : عَمْرو بْن مَيْمُونٍ الْأَوْدِيّ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1479 | خلاصة حكم المحدث:صحيح ـ ((صحيح أبي داود)) (459).
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ: فِي قَوْلِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (وَاجْعَلْ صَلَاتَكَ مَعَهُمْ سُبْحَةً) أَعْظَمُ الدَّلِيلِ عَلَى إِجَازَةِ صَلَاةِ التَّطَوُّعِ لِلْمَأْمُومِ خَلْفَ الَّذِي يُؤَدِّي الْفَرْضَ ضِدَّ قَوْلِ مَنْ أَمَرَ بِضِدِّهِ وَفِيهِ دَلِيلٌ عَلَى إِجَازَةِ صَلَاةِ التَّطَوُّعِ جماعة.
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহ আবূ দাঊদ: ৪৫৯)