পরিচ্ছেদঃ পেশাব-পায়খানা করার সময় কিবলার দিকে মুখ করা ও পিঠ করার ব্যাপারে হুশিয়ারী
১৪১৪. আবূ আইয়ূব আনসারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “তোমরা কিবলাকে সামনে বা পিছনে রেখে পেশাব-পায়খানা করবে না, বরং তোমরা পূর্বদিক অথবা পশ্চিম দিকে বসে হাজত পূরণ করবে।”
আবূ আইয়ূব আনসারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “অতঃপর আমরা শামে আগমন করলাম, অতঃপর আমরা দেখতে পেলাম সেখানকার টয়লেটগুলো কিবলার দিকে স্থাপন করা হয়েছে।” নু‘মান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “তখন অতঃপর আমরা দেখতে পেলাম সেখানকার টয়লেটগুলো কিবলার দিকে স্থাপন করা হয়েছে।” আবূ আইয়ূব আনসারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “অতঃপর আমরা সেখান থেকে ইস্তিগফার করতে করতে ফিরে আসি।”[1]
আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী “বরং তোমরা পূর্বদিক অথবা পশ্চিম দিকে বসে হাজত পূরণ করবে” এটি নির্দেশজ্ঞাপক শব্দ, যা কিছুক্ষেত্রে ব্যাপকতার অর্থ প্রদান করে। তবে এখানে ব্যাপক অর্থটি আব্দুল্লাহ বিন উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা হাদীস দ্বারা বিশেষিত হয়েছে এভাবে যে, উক্ত নির্দেশ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো খোলা মাঠে হাজত পূরণের সময়; আবদ্ধ বা ঢাকা জায়গায় হাজত পূরণের সময় এটি প্রযোজ্য নয়।
দ্বিতীয় বিশেষায়িত অবস্থা যা কিয়াস সমর্থিত তা হলো: যার কিবলা পূর্ব বা পশ্চিম দিকে তার জন্য আবশ্যক হলো সে পেশাব পায়খানা করার সময় পূর্ব ও পশ্চিম দিকে মুখ করবে না, পিঠও করবে না। কেননা সেদিকে তার কিবলা। বস্তুত হাজত পূরণের সময় কিবলার বিপরীত দিকে মুখ বা পিঠ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
ذِكْرُ الزَّجْرِ عَنِ اسْتِدْبَارِ الْقِبْلَةِ وَاسْتِقْبَالِهَا بِالْغَائِطِ والبول
1414 - أَخْبَرَنَا أَبُو يَعْلَى قَالَ: حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْحَجَّاجِ السَّامِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ عَنْ مَعْمَرٍ وَالنُّعْمَانِ بْنِ رَاشِدٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ عَنْ أَبِي أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى الله عليه وسلم قال: (لَا تَسْتَقْبِلُوا الْقِبْلَةَ بِبَوْلٍ وَلَا غَائِطٍ وَلَا تَسْتَدْبِرُوهَا وَلَكِنْ شَرِّقوا أَوْ غَرِّبوا)
قَالَ أَبُو أَيُّوبَ: فَقَدِمْنَا الشَّامَ فَإِذَا مَرَاحِيضُ قَدْ صُنعت نَحْوَ الْقِبْلَةِ وَقَالَ النُّعْمَانُ: فَإِذَا مَرَافِيقُ قَدْ صُنعت نَحْوَ الْقِبْلَةِ قَالَ أَبُو أَيُّوبَ: فَنَنْحَرِفُ ونستغفر الله.
الراوي : أَبُو أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيّ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1414 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: قَوْلُهُ (شَرِّقوا أَوْ غَرِّبوا) لَفْظَةُ أَمْرٍ تُسْتَعْمَلُ عَلَى عُمُومِهِ فِي بَعْضِ الْأَعْمَالِ وَقَدْ يخصُّه خَبَرُ ابْنِ عُمَرَ بِأَنَّ هَذَا الْأَمْرَ قُصِدَ بِهِ الصَّحَارِي دُونَ الكُنُفِ وَالْمَوَاضِعِ الْمَسْتُورَةِ.
وَالتَّخْصِيصُ الثَّانِي الَّذِي هُوَ مِنَ الْإِجْمَاعِ: أنَّ مَنْ كَانَتْ قِبْلَتُهُ فِي الْمَشْرِقِ أَوْ فِي الْمَغْرِبِ عَلَيْهِ أَنْ لَا يَسْتَقْبلَها وَلَا يَسْتَدْبِرَهَا بِغَائِطٍ أَوْ بَوْلٍ لِأَنَّهَا قبلتُهُ وَإِنَّمَا أُمِرَ أَنْ يَسْتَقْبِلَ أَوْ يَسْتَدْبِرَ ضِدَّ الْقِبْلَةِ عِنْدَ الْحَاجَةِ.
আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আত তা‘লীকাতুল হিসান: ১৪১৩।)