পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - চুল আঁচড়ানো
৪৪৭০-[৫২] আবূ মুলায়কাহ্ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন ’আয়িশাহ্ (রাঃ)-কে বলা হলো, জনৈকা মহিলা (পুরুষদের ন্যায়) জুতা পরিধান করেছিল। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) তাকে বললেনঃ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন সব মহিলাদের ওপর লা’নাত করেছেন : যারা পুরুষদের বেশ ধারণ করে। (আবূ দাঊদ)[1]
وَعَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ قَالَ: قِيلَ لِعَائِشَةَ: إِنَّ امْرَأَةً تَلْبَسُ النَّعْلَ قَالَتْ: لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الرَّجُلَةَ مِنَ النِّسَاء. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যাঃ (النَّعْلَ) শব্দের অর্থ পাদুকা, জুতা, স্যান্ডেল ইত্যাদি। পুরুষ মহিলা উভয়েই জুতা ব্যবহার করতে পারে। তবে পুরুষের জন্য তৈরি জুতা মেয়েদের জন্য পরিধান করা জায়িয নেই। আবার মেয়েদের জন্য নির্ধারিত জুতা পুরুষের জন্য পরিধান করা জায়িয নেই। জুতার কারণে বর্ণিত মহিলাকে লা‘নাত বা অভিশাপ দেয়ার কারণ হলো সেটি নিশ্চয় পুরুষ সদৃশ্য জুতা। হাদীসের পরবর্তী অংশ তার স্পষ্ট ব্যাখ্যা রয়েছে।
(الرَّجُلَةَ مِنَ النِّسَاء) অর্থ হলো, নারীদের মধ্যে যারা পুরুষের অবয়ব, আকৃতি বা পুরুষ ভাব অবলম্বন করে এবং নিজেকে পুরুষের অবয়বে প্রকাশ করতে চায়। হাদীসের এই অংশ থেকে স্পষ্ট হয়ে গেল যে, হাদীসে নারীদের জন্য যে পাদুকার ব্যাপারে অভিশাপের কথা বলা হয়েছে যা পুরুষ সাদৃশ্য বা যে জুতা পুরুষের ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত। অতএব সাধারণ জুতা যা পুরুষ সাদৃশ্য নয় তা মেয়েদের জন্য নিষেধ নয়। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)