১৩৭১

পরিচ্ছেদঃ ৪১. শরীকানা, তাওলিয়া, ইকালা প্রসঙ্গ

রেওয়ায়ত ৮৭. মালিক (রহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি বিভিন্ন জাতের বস্ত্র বিক্রয় করিতেছে, তথা হইতে কয়েকটি বস্ত্র উহাদের চিহ্ন উল্লেখ করিয়া বাদ দিয়া দিল যদি সেই বর্ণিত চিহ্নের বস্ত্র অন্যান্য বস্ত্র হইতে পছন্দ করার শর্ত করিয়া থাকে তবে উহাতে কোন দোষ নাই, আর যদি ঐভাবে পছন্দ করিয়া নির্ধারিত বস্ত্ৰ হইতে বস্ত্র লওয়ার বিক্রেতা শর্ত না করিয়া থাকে, ইস্তিসনার শর্ত করার সময়, তবে আমি মনে করি যে, ক্রেতা যেই বস্ত্র ক্রয় করিয়াছে উহর সংখ্যাতে বিক্রেতা শরীক থাকিবে। কারণ অনেক সময় এইরূপ হয় যে, দুইটি বস্ত্রের (رقم)[1] নিশন বা চিহ্ন এক কিন্তু উহাদের মূল্যের মধ্যে তফাৎ রহিয়াছে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ খাদ্যদ্রব্য ইত্যাদিতে শরীকানা, তাওলিয়া ও ইকালাতে আমাদের মতে কোন দোষ নাই; উহা আয়ত্তে আনুক কিংবা না আনুক। যদি শরীকানার মূলধন নগদ হয় এবং উহাতে অতিরিক্ত কিছু না থাকে পূর্ণ মূল্য হইতে কমানো না হয় ও মূল্য পরিশোধে বিলম্ব না করাকে যদি শরীকানাতে মূল্য বৃদ্ধি বা মূল্য কমানো কিংবা বিলম্ব করা বিক্রেত বা ক্রেতার পক্ষ হইতে, তবে উহা নূতনরূপে বেচাকেনা বলিয়া গণ্য হইবে। যেই আহকাম বেচাকেনাকে হালাল করে ইহাকেও সেই বিধান হালাল করিবে, আর যে আহকাম ক্রয়-বিক্রয়কে হারাম করে সেই বিধান ইহাকেও হারাম করিবে। ইহা প্রকৃতপক্ষে অংশীদারিত্ব ও তাওলিয়া কিংবা ইকালা নহে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি (যেমন খালিদ) পণ্য ক্রয় করে; (বকর হইতে) বস্ত্র বা ক্রীতদাস (অথবা অন্য কোন পণ্য) এবং নিশ্চিতরূপে ক্রয় করে (কোন শর্ত উহাতে না থাকে) অতঃপর জনৈক ব্যক্তি (যেমন মাইমুনা) উক্ত পণ্যে তাহাকে শরীক করার অনুরোধ জানাইল।

সে (খালিদ) উহাকে (মায়মুনাকে) অংশীদারিত্ব প্রদান করিল এবং তাহারা উভয়ে পণ্যের মালিককে মূল্য নগদ পরিশোধ করিল। অতঃপর পণ্যে এমন কোন কারণ উদ্ভব হইল যাহাতে উভয়ের মালিকানা হইতে পণ্য বাহির হইয়া গেল। তবে যে তাহাকে শরীক করিয়াছিল সেই ব্যক্তি (খালিদ) হইতে যাহাকে পণ্যে শরীক কয় হইয়াছিল সে (অর্থাৎ মায়মুনা) মূল্য ফেরত লইবে এবং যে পণ্য বিক্রয় করিয়াছে তাহার নিকট (খালিদের নিকট) মূল্য দাবি করিবে। তবে যে ব্যক্তি শরীক করিয়াছে সে (খালিদ) যাহাকে শরীক করিয়াছে তাহার নিকট (মায়মুনার নিকট) (প্রথম) বিক্রয়ের সময় এবং প্রথম বিক্রেতার বেচাকেনার সময়, বেচাকেনার মজলিশ পরিবর্তিত হওয়ার পূর্বে যদি এই মর্মে শর্তারোপ করিয়া থাকে, “আপনার দায়িত্ব যাহার নিকট হইতে আপনি ক্রয় করিলেন তাহার উপর।” পক্ষান্তরে যদি ক্রয়-বিক্রয়ের মজলিশ বদল হয় এবং প্রথম বিক্রেতা (অর্থাৎ বকর) মৃত্যুবরণ করে, তবে ক্রেতা ব্যক্তির (অর্থাৎ খালিদের) শর্ত বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে এবং যাবতীয় দায়িত্ব তাহার উপরই ন্যস্ত থাকিবে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তিকে বলিল-আপনি এই পণ্য ক্রয় করুন আপনার ও আমার মধ্যে শরীকানায়। আর আমার অংশের মূল্য আপনি নগদ পরিশোধ করুন, আমি আপনার অংশেরও বিক্রয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করিরাম, ইহা জায়েয নহে। যখন সে বলিল, আমার পক্ষ হইতে আপনি নগদ মূল্য পরিশোধ করুন আমি আপনার অংশের পণ্য বিক্রয় করিয়া দিব। ইহা হইতেছে ঋণ (سلف) যাহা সে উহাকে সলফস্বরূপ প্রদান করিল এই শর্তে যে, সে এই পণ্য তাহার জন্য বিক্রয় করিয়া দিবে। যদি সেই পণ্য নষ্ট হইয়া যায় অথবা হারাইয়া যায় তবে নগদ মূল্য পরিশোধকারী তাহার শরীক হইতে সেই মূল্য নগদ উশুল করিবে, ইহাই (অতিরিক্ত) মুনাফা আকর্ষণকারী সলফ বা ঋণ (যাহা হারাম)।মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি কোন ব্যক্তি কোন পণ্য ক্রয় করিয়াছে এবং উক্ত ক্রয় তাহার জন্য ওয়াজিব হইয়াছে (অর্থাৎ বাধ্যতামূলক হইয়াছে) তারপর অন্য এক ব্যক্তি বলিল, আমাকে এই পণ্যের অর্ধেকের মধ্যে শরীক কর। আমি উহা পূর্ণ বিক্রয় করিয়া দিব, উহা হালাল হইবে। ইহাতে কোন দোষ নাই। ইহার ব্যাখ্যা এই—ইহা একটি নূতন ক্রয়-বিক্রয় বিক্রেতা উহার নিকট অর্ধেক পণ্য এই শর্তে বিক্রয় করিয়াছে যে, ক্রেতা তাহার অংশের বাকী অর্ধেক পণ্য বিক্রয় করিয়া দিবে।

بَاب مَا جَاءَ فِي الشِّرْكَةِ وَالتَّوْلِيَةِ وَالْإِقَالَةِ

قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَبِيعُ الْبَزَّ الْمُصَنَّفَ وَيَسْتَثْنِي ثِيَابًا بِرُقُومِهَا إِنَّهُ إِنْ اشْتَرَطَ أَنْ يَخْتَارَ مِنْ ذَلِكَ الرَّقْمَ فَلَا بَأْسَ بِهِ وَإِنْ لَمْ يَشْتَرِطْ أَنْ يَخْتَارَ مِنْهُ حِينَ اسْتَثْنَى فَإِنِّي أَرَاهُ شَرِيكًا فِي عَدَدِ الْبَزِّ الَّذِي اشْتُرِيَ مِنْهُ وَذَلِكَ أَنَّ الثَّوْبَيْنِ يَكُونُ رَقْمُهُمَا سَوَاءً وَبَيْنَهُمَا تَفَاوُتٌ فِي الثَّمَنِ قَالَ مَالِك الْأَمْرُ عِنْدَنَا أَنَّهُ لَا بَأْسَ بِالشِّرْكِ وَالتَّوْلِيَةِ وَالْإِقَالَةِ مِنْهُ فِي الطَّعَامِ وَغَيْرِهِ قَبَضَ ذَلِكَ أَوْ لَمْ يَقْبِضْ إِذَا كَانَ ذَلِكَ بِالنَّقْدِ وَلَمْ يَكُنْ فِيهِ رِبْحٌ وَلَا وَضِيعَةٌ وَلَا تَأْخِيرٌ لِلثَّمَنِ فَإِنْ دَخَلَ ذَلِكَ رِبْحٌ أَوْ وَضِيعَةٌ أَوْ تَأْخِيرٌ مِنْ وَاحِدٍ مِنْهُمَا صَارَ بَيْعًا يُحِلُّهُ مَا يُحِلُّ الْبَيْعَ وَيُحَرِّمُهُ مَا يُحَرِّمُ الْبَيْعَ وَلَيْسَ بِشِرْكٍ وَلَا تَوْلِيَةٍ وَلَا إِقَالَةٍ قَالَ مَالِك مَنْ اشْتَرَى سِلْعَةً بَزًّا أَوْ رَقِيقًا فَبَتَّ بِهِ ثُمَّ سَأَلَهُ رَجُلٌ أَنْ يُشَرِّكَهُ فَفَعَلَ وَنَقَدَا الثَّمَنَ صَاحِبَ السِّلْعَةِ جَمِيعًا ثُمَّ أَدْرَكَ السِّلْعَةَ شَيْءٌ يَنْتَزِعُهَا مِنْ أَيْدِيهِمَا فَإِنَّ الْمُشَرَّكَ يَأْخُذُ مِنْ الَّذِي أَشْرَكَهُ الثَّمَنَ وَيَطْلُبُ الَّذِي أَشْرَكَ بَيِّعَهُ الَّذِي بَاعَهُ السِّلْعَةَ بِالثَّمَنِ كُلِّهِ إِلَّا أَنْ يَشْتَرِطَ الْمُشَرِّكُ عَلَى الَّذِي أَشْرَكَ بِحَضْرَةِ الْبَيْعِ وَعِنْدَ مُبَايَعَةِ الْبَائِعِ الْأَوَّلِ وَقَبْلَ أَنْ يَتَفَاوَتَ ذَلِكَ أَنَّ عُهْدَتَكَ عَلَى الَّذِي ابْتَعْتُ مِنْهُ وَإِنْ تَفَاوَتَ ذَلِكَ وَفَاتَ الْبَائِعَ الْأَوَّلَ فَشَرْطُ الْآخَرِ بَاطِلٌ وَعَلَيْهِ الْعُهْدَةُ قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَقُولُ لِلرَّجُلِ اشْتَرِ هَذِهِ السِّلْعَةَ بَيْنِي وَبَيْنَكَ وَانْقُدْ عَنِّي وَأَنَا أَبِيعُهَا لَكَ إِنَّ ذَلِكَ لَا يَصْلُحُ حِينَ قَالَ انْقُدْ عَنِّي وَأَنَا أَبِيعُهَا لَكَ وَإِنَّمَا ذَلِكَ سَلَفٌ يُسْلِفُهُ إِيَّاهُ عَلَى أَنْ يَبِيعَهَا لَهُ وَلَوْ أَنَّ تِلْكَ السِّلْعَةَ هَلَكَتْ أَوْ فَاتَتْ أَخَذَ ذَلِكَ الرَّجُلُ الَّذِي نَقَدَ الثَّمَنَ مِنْ شَرِيكِهِ مَا نَقَدَ عَنْهُ فَهَذَا مِنْ السَّلَفِ الَّذِي يَجُرُّ مَنْفَعَةً قَالَ مَالِك وَلَوْ أَنَّ رَجُلًا ابْتَاعَ سِلْعَةً فَوَجَبَتْ لَهُ ثُمَّ قَالَ لَهُ رَجُلٌ أَشْرِكْنِي بِنِصْفِ هَذِهِ السِّلْعَةِ وَأَنَا أَبِيعُهَا لَكَ جَمِيعًا كَانَ ذَلِكَ حَلَالًا لَا بَأْسَ بِهِ وَتَفْسِيرُ ذَلِكَ أَنَّ هَذَا بَيْعٌ جَدِيدٌ بَاعَهُ نِصْفَ السِّلْعَةِ عَلَى أَنْ يَبِيعَ لَهُ النِّصْفَ الْآخَرَ

قال مالك في الرجل يبيع البز المصنف ويستثني ثيابا برقومها انه ان اشترط ان يختار من ذلك الرقم فلا باس به وان لم يشترط ان يختار منه حين استثنى فاني اراه شريكا في عدد البز الذي اشتري منه وذلك ان الثوبين يكون رقمهما سواء وبينهما تفاوت في الثمن قال مالك الامر عندنا انه لا باس بالشرك والتولية والاقالة منه في الطعام وغيره قبض ذلك او لم يقبض اذا كان ذلك بالنقد ولم يكن فيه ربح ولا وضيعة ولا تاخير للثمن فان دخل ذلك ربح او وضيعة او تاخير من واحد منهما صار بيعا يحله ما يحل البيع ويحرمه ما يحرم البيع وليس بشرك ولا تولية ولا اقالة قال مالك من اشترى سلعة بزا او رقيقا فبت به ثم ساله رجل ان يشركه ففعل ونقدا الثمن صاحب السلعة جميعا ثم ادرك السلعة شيء ينتزعها من ايديهما فان المشرك ياخذ من الذي اشركه الثمن ويطلب الذي اشرك بيعه الذي باعه السلعة بالثمن كله الا ان يشترط المشرك على الذي اشرك بحضرة البيع وعند مبايعة الباىع الاول وقبل ان يتفاوت ذلك ان عهدتك على الذي ابتعت منه وان تفاوت ذلك وفات الباىع الاول فشرط الاخر باطل وعليه العهدة قال مالك في الرجل يقول للرجل اشتر هذه السلعة بيني وبينك وانقد عني وانا ابيعها لك ان ذلك لا يصلح حين قال انقد عني وانا ابيعها لك وانما ذلك سلف يسلفه اياه على ان يبيعها له ولو ان تلك السلعة هلكت او فاتت اخذ ذلك الرجل الذي نقد الثمن من شريكه ما نقد عنه فهذا من السلف الذي يجر منفعة قال مالك ولو ان رجلا ابتاع سلعة فوجبت له ثم قال له رجل اشركني بنصف هذه السلعة وانا ابيعها لك جميعا كان ذلك حلالا لا باس به وتفسير ذلك ان هذا بيع جديد باعه نصف السلعة على ان يبيع له النصف الاخر


Malik said there was no harm if a man who sold some drapery and excluded some garments by their markings, stipulated that he chose the marked ones from that. If he did not stipulate that he would choose from them when he made the exclusion, I think that he is partner in the number of drapery goods which were purchased from him. That is because two garments can be alike in marking and be greatly different in price.

Malik said, "The way of doing things among us is that there is no harm in partnership, transferring responsibility to an agent, and revocation when dealing with food and other things, whether or not possession was taken, when the transaction is with cash, and there is no profit, loss, or deferment of price in it. If profit or loss or deferment of price from one of the two enters any of these transactions, it becomes sale which is made halal by what makes sale halal, and made haram by what makes sale haram, and it is not partnership, transferring responsibility to an agent, or revocation."

Malik spoke about some one who bought drapery goods or slaves, and the sale was concluded, then a man asked him to be his partner and he agreed and the new partner paid the whole price to the seller and then something happened to the goods which removed them from their possession. Malik said, "The new partner takes the price from the original partner and the original partner demands from the seller the whole price unless the original partner stipulated on the new partner during the sale and before the transaction with the seller was completed that the seller was responsible to him. If the transaction has ended and the seller has gone, the pre-condition of the original partner is void, and he has the responsibility."

Malik spoke about a man who asked another man to buy certain goods to share between them, and he wanted the other man to pay for him and he would sell the goods for the other man. Malik said, "That is not good. When he says, 'Pay for me and I will sell it for you,' it becomes a loan which he makes to him in order that he sell it for him and if those goods are destroyed, or pass, the man who paid the price will demand from his partner what he put in for him. This is part of the advance which brings in profit."

Malik said, "If a man buys goods, and they are settled for him, and then a man says to him, 'Share half of these goods with me, and I will sell them all for you,' that is halal, there is no harm in it. The explanation of that is that this is a new sale and he sells him half of the goods provided that he sells the whole lot."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মুয়াত্তা মালিক
৩১. ক্রয়-বিক্রয় অধ্যায় (كتاب البيوع)