পরিচ্ছেদঃ ৩৪. আযল এর বর্ণনা
রেওয়ায়ত ৯৫. ইবন মুহায়রিয (রহঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি মসজিদে প্রবেশ করিলাম। আমি (তথায়) আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ)-কে দেখিতে পাইলাম এবং আমি তাহার নিকট বসিলাম ও তাহাকে আযল[1] সম্পর্কে প্রশ্ন করিলাম। (উত্তরে) আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলিলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামের সহিত ’বনী মুস্তালিক’ যুদ্ধে বাহির হইলাম। আমরা (সেই যুদ্ধে) কিছু সংখ্যক আরবী যুদ্ধবন্দিনী লাভ করিলাম। (এইদিকে) নারীর প্রতি আমাদের প্রবৃত্তি জাগ্রত হইল, স্ত্রী সংশ্রব হইতে দূরে থাকা আমাদের জন্য কঠিন হইয়া দাঁড়াইল। (অপরদিকে) উহাদের মূল্য পাইতেও আমরা আগ্রহী। তাই আমরা (তাহদের সহিত) আযল করার ইচ্ছা করিলাম। আমরা বলিলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মধ্যে বিরাজমান; তাহার কাছে জিজ্ঞাসা করার পূর্বে আমরা আযল করিব (ইহা কিরূপে হয়)। আমরা এই বিষয়ে তাহার নিকট প্রশ্ন করিলাম। তিনি বলিলেন, ইহা না করিলে তোমাদের কোন ক্ষতি নাই। কিয়ামত দিবস পর্যন্ত যত প্রাণীর জন্ম অবধারিত উহা অবশ্যই অস্তিতে আসিবে।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْعَزْلِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ عَنْ ابْنِ مُحَيْرِيزٍ أَنَّهُ قَالَ دَخَلْتُ الْمَسْجِدَ فَرَأَيْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ فَجَلَسْتُ إِلَيْهِ فَسَأَلْتُهُ عَنْ الْعَزْلِ فَقَالَ أَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيُّ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزْوَةِ بَنِي الْمُصْطَلِقِ فَأَصَبْنَا سَبْيًا مِنْ سَبْيِ الْعَرَبِ فَاشْتَهَيْنَا النِّسَاءَ وَاشْتَدَّتْ عَلَيْنَا الْعُزْبَةُ وَأَحْبَبْنَا الْفِدَاءَ فَأَرَدْنَا أَنْ نَعْزِلَ فَقُلْنَا نَعْزِلُ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ أَظْهُرِنَا قَبْلَ أَنْ نَسْأَلَهُ فَسَأَلْنَاهُ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ مَا عَلَيْكُمْ أَنْ لَا تَفْعَلُوا مَا مِنْ نَسَمَةٍ كَائِنَةٍ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ إِلَّا وَهِيَ كَائِنَةٌ
আবদুল্লাহ্ ইবন উমর (রাঃ) ইহাকে নিষেধ করিয়াছেন। তিনি বলিয়াছেন যদি কেহ আযল করিয়াছে বলিয়া আমি জানি তবে তাহাকে শাস্তি দিব। উমর (রাঃ) তাহার কোন পুত্রকে আযল করার কারণে শাস্তি দিয়াছেন। উসমান (রাঃ)-ও আযলকে পছন্দ করিতেন না। আবূ উসামা (রাঃ) বলেনঃ কোন মুসলিম আযল করে বলিয়া আমি মনে করি না। আলী (রাঃ) আযলকে পছন্দ করিতেন না বলিয়া বর্ণিত হইয়াছে। প্রসিদ্ধ মুহাদিস হাকিম ইবন হাজর (রহঃ) বর্ণনা করেন যে, ইবন হাযম (রহঃ) আযলকে হারাম জানিতেন। কেননা হাদীস শরীফে ইহাকে গুপ্ত হত্যা বলা হইয়াছে। হাদীসটি মুসলিম’-এ বর্ণিত হইয়াছে। আযল নিষিদ্ধ হওয়ার কারণ বর্ণনায় আলিমগণ বলিয়াছেনঃ ইহাতে স্ত্রীর হক নষ্ট করা হয় এবং বংশ বৃদ্ধি রোধ করা হয় অথচ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বংশ বৃদ্ধির প্রতি উৎসাহিত করিয়া বলিয়াছেনঃ অধিক ভালবাসে এবং অধিক সন্তান জন্ম দেয় সেরূপ স্ত্রীকে বিবাহ কর। কারণ আমি আমার উম্মতের আধিক্যের উপর গর্ব করিব — আবূ দাউদ। অন্য কারণ আযল করাতে তকদীরকে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করা হয়।— আওজাযুল মাসালিক
Yahya related to me from Malik from Rabia ibn Abi Abd ar-Rahman from Muhammad ibn Yahya ibn Habban that Ibn Muhayriz said, "I went into the mosque and saw Abu Said al-Khudri and so I sat by him and asked him about coitus interruptus. Abu Said al-Khudri said, 'We went out with the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, on the expedition to the Banu al-Mustaliq. We took some Arabs prisoner, and we desired the women as celibacy was hard for us. We wanted the ransom, so we wanted to practise coitus interruptus. We said, 'Shall we practise coitus interruptus while the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, is among us before we ask him?' We asked him about that and he said, 'You don't have to not do it. There is no self which is to come into existence up to the Day of Rising but that it will come into existence.' "